সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গনা মুখ খুললেই বিতর্ক। তা বলিউড, নেপোটিজম নিয়েই হোক কিংবা ভারতীয় রাজনীতি। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ তাঁর বিতর্ক মন্তব্যের জন্য বার বারই বিতর্কে পড়েন। তবে এবার শুধুই বিতর্ক নয়, কৃষক আন্দোলন, মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের আগরার এমপি-এমএলএ আদালতের নোটিস পেলেন কঙ্গনা। আইনজীবী রমাশঙ্কর শর্মার অভিযোগ অনুযায়ী, কৃষক আন্দোলন ও মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। আর সেই কারণেই কঙ্গনাকে আদালতের নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে কঙ্গনার জবাব চাওয়া হয়েছে।
তা ঠিক কী বলেছেন কঙ্গনা?
আগস্ট মাসে কঙ্গনা তাঁর সোশাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ''ভারতে কৃষক আন্দোলন বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের জন্যই তা হতে পারেনি।'' এখানেই শেষ করেননি কঙ্গনা। তিনি এই পোস্টে আরও লেখেন, ''কৃষক আন্দোলন চলাকালীন ঝুলন্ত অবস্থায় বহু দেহ পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় প্রচুর ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।''
গতকাল অর্থাৎ ২ অক্টোবর, গান্ধীজয়ন্তীর দিন কঙ্গনা ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশের কোনো পিতা হয় না, লাল (সন্তান) হয়, ধন্য এই ভারতমাতার সন্তানরা।’ এই পোস্টে কঙ্গনা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছেন।
তবে এখানেই শেষ নয়, কঙ্গনা আরও একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে , কঙ্গনা দেশে গান্ধীর স্বচ্ছতার উত্তরাধিকার বহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এর ফলে কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকে একাধিক আক্রমণাত্মক পোস্ট এসেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। এমনকী, কঙ্গনার এই পোস্ট দেখে রাজনৈতিক মহলেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে অশ্লীল কটাক্ষ করেছেন। গডসে উপাসকরা বাপু এবং শাস্ত্রীজির মধ্যে পার্থক্য টানেন। নরেন্দ্র মোদী কি তাঁর দলের নতুন গডসে ভক্তকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করবেন? জাতির পিতা আছেন, পুত্র আছেন, শহীদ আছেন। সবারই সম্মান প্রাপ্য।’
অন্যদিকে, কঙ্গনা রানাউতের ‘এমার্জেন্সি’ ছবির মুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরেই নানা টালবাহানা। সেন্সর বোর্ড তো বলেই দিয়েছে, এই ছবি থেকে কয়েকটি দৃশ্য বাদ না দিলে ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না। এমনকী, সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেশন নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। অন্যদিকে, কঙ্গনা এতদিন লড়েই যাচ্ছিলেন। তবে অবশেষে সেন্সর বোর্ডের নির্দেশকেই মানতে বাধ্য হলেন ‘এমার্জেন্সি’ টিম। সোমবার মুম্বই হাই কোর্টকে ছবির টিম জানিয়ে দিল, তাঁরা সেন্সর বোর্ডের নির্দেশকেই মানবে। সেন্সর বোর্ড যে দৃশ্য ও সংলাপগুলি বাদ দেওয়ার কথা বলেছে, সেগুলো বাদ দিয়েই মুক্তি পাবে ‘এমার্জেন্সি’। অনেকে মনে করছেন, নিজের ছবির প্রচারের জন্যই এমনটা করছেন কঙ্গনা।