সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে জোরালো থাপ্পড় খেয়েও হুঁশ ফেরেনি পাকিস্তানের। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসার বীজ বপন করতে পাকিস্তান থেকে উসকানি পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। ফের একবার কাশ্মীরের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে সরাসরি সমর্থনের বার্তা দিতে শোনা গেল মুনিরকে। এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পাক সেনা প্রধানের দাবি, 'ভারত ওদের জঙ্গি বললেও আসলে ওরা নিজেদের বৈধ লড়াই লড়ছে। আর এই লড়াইয়ে পাকিস্তান ওদের পাশে রয়েছে।'
পাকিস্তানের নেভাল অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠান উপলক্ষে সম্প্রতি করাচিতে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুনির বলেন, "ভারত যাকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে রাষ্ট্রসংঘের নীতি অনুযায়ী এটা ওদের বৈধ লড়াই। ওখানে কাশ্মীরের মানুষকে দমন করার চেষ্টা চলছে।" কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁর আরও দাবি, "রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরিদের দাবি অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার ন্যায্য সমাধানের জন্য পাকিস্তান চিরকাল আওয়াজ তুলবে।" অর্থাৎ মুনিরের স্পষ্ট বার্তা কাশ্মীরের মাটিতে যে জঙ্গি সংগঠনগুলি হত্যালীলা চালাচ্ছে তাদের সরাসরি সমর্থন যোগাবে পাকিস্তান।
এখানেই না থেকে মুনির আরও জানান, "কাশ্মীর আমাদের গলার শিরা ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা কখনও কাশ্মীরকে ভুলব না।" শুধু তাই নয়, ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলার চক্রি, সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরের দেশ পাকিস্তানের সেনা প্রধানের দাবি, তারা আঞ্চলিক স্থিরতার পথ প্রদর্শক। তাঁর কথায়, ''কোনওরকম উসকানি ছাড়া ভারত যতবার আক্রমণ করেছে সংযমের সঙ্গে আমরা তার যথার্থ জবাব দিয়েছি।'' অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গুলির মাথার ছাতা হয়ে বরাবর দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘে পহেলগাঁও হামলার দায় নেওয়া লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফকে নিষিদ্ধ করার পথে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই পাকিস্তান। এবার সেই সংগঠনগুলিকে সরাসরি সমর্থন যোগাল পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে মুনিরের এহেন মন্তব্য এই প্রথমবার নয়, এর আগে অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে একই রকম মন্তব্য করেন মুনির। হিন্দুদের থেকে মুসলিমরা কত আলাদা সে বিষয়ে বলতে গিয়ে রীতিমতো বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এর ঠিক পরই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। এই সন্ত্রাসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের কথাও প্রকাশ্যে আসে। যার পালটা অপারেশন সিঁদুরে পাক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। দুই দেশের সংঘাত শেষে যুদ্ধ বিরতি হলেও নতুন করে আবার কাশ্মীর ইস্যুতে উসকানির রাস্তায় হাঁটলেন পাক সেনা প্রধান।
