সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলাম বিরোধী সমস্ত কিছুই অসত্য। ভুয়ো। ছেলেদের থেকে শত যোজন পিছিয়ে মেয়েরা। পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের মেলামেশা করাও উচিত নয়। জোর করে পাকিস্তানের (Pakistan) এক অধ্যাপককে এসমস্ত বলতে বাধ্য করলেন ইসলামিক ধর্মগুরুরা। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে তিনি ডারউইনের বিবর্তনবাদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ইসলামে নারীদের অধিকারের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন ওই অধ্যাপক। এর পর থেকেই পাক ধর্মগুরুদের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ান বান্নুর সরকারি স্নাতকোত্তর কলেজের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক।
এবার সেই সহকারী অধ্যাপক শের আলিকে এবার ক্ষমা চাইতে বাধ্য় করলেন সে দেশের ধর্মগুরুরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, অধ্য়াপককে ঘিরে রেখেছেন ধর্মগুরুরা। তাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে বাধ্য হন শের আলি। নিজের বিশ্বাস থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নারী-পুরুষের বিভেদের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
[আরও পড়ুন: টাকার বদলে প্রশ্ন ইস্যুতে মহুয়ার বিপদ বাড়ছে? এবার তৃণমূল সাংসদকে তলব এথিক্স কমিটির]
শের আলির কথায়, “সমস্ত বৈজ্ঞানিক ভাবনা যা ইসলামবিরোধী তা একেবারে অসত্য়। এমনকী, ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তনের তত্ত্বও মিথ্যে। শরিয়ত আইন অনুযায়ী, নারী-পুরুষের মেলামেশাও বৈধ নয়।” যেভাবে চাপ দিয়ে অধ্যাপকের বয়ান বদল করা হল, তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষাবিদরা। তাঁদের কথায়, বাক স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।