সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নত তথ্যপ্রযক্তি ও বিশ্বায়নে এ বিশ্ব যতই এগোক, আজও কিছু বিষয়ে নাক সিঁটকোয় সমাজ। কোনও দোষ না থাকলেও রূপান্তরকামীদের ‘বাঁকা চোখে’ দেখতেই আজও অভ্যস্ত এ সমাজ। আর সেই সমাজে দাঁড়িয়েই দৃষ্টান্তমূলক কাজ করল পাকিস্তানের একটি নিউজ চ্যানেল। এক রূপান্তরকামীকে সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখা গেল টিভির পর্দায়।
[‘রানি’র পাশেই ‘আঙ্কল স্যাম’, মার্কিন মুলুক থেকে বিতাড়িত ৬০ রুশ কূটনীতিবিদ ]
একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের একটি বেসরকারি চ্যানেল কোহিনুর নিউজে মাবিয়া মালিক নামের ওই রূপান্তরকামীকে সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। আর তারপর থেকেই পাকিস্তানের মতো সংরক্ষণশীল দেশে এমন পদক্ষেপ দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। টুইটারে প্রশংসার বন্যা বইছে। মাবিয়া মালিকের খবর পড়ার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্ব থেকে শুভেচ্ছা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মাবিয়াও। পাক টিভি চ্যানেলটির এমন বলিষ্ঠ পদক্ষেপকে বাহবা জানিয়েছে গোটা দুনিয়া। শুধু তাই নয়, ভারত-সহ অন্যান্য দেশের নেটিজেনরাও এবার রূপান্তরকামীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের হয়ে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, পাকিস্তান পারলে, অন্য দেশ কেন সঞ্চালক হিসেবে আরও বেশি করে বেছে নিতে পারবে না রূপান্তরকামীদের? কেন সমাজ তাঁদের ব্রাত্য করেই রাখবে? তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতির দাবি তুলেছেন অনেকেই।
তবে পাকিস্তানের বহু আগেই ভারত এ নজির গড়েছিল পদ্মিনী প্রকাশকে খবরের সঞ্চালিকা হিসেবে বেছে নিয়ে। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় রূপান্তরকামী সংবাদ পাঠিকা। লোটাস টিভিতে খবর পড়তেন তিনি। পাশাপাশি বিবিসি চ্যানেলের পাঠিকা ছিলেন অপ্সরা রেড্ডি। ব্রিটেনের প্যারিস লি কাজ করতেন চ্যানেল ফোর-এ। তবে পাকিস্তানে শুধু সঞ্চালিকার ভূমিকাতেই নয়, চলতি বছর হজ যাত্রীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পুরুষদের সঙ্গে দেখা যাবে রূপান্তরকামীদেরও।
[বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় জওয়ানদের মিষ্টি উপহার বিজিবির]
The post সঞ্চালিকার ভূমিকায় রূপান্তরকামী, পাক চ্যানেলের পদক্ষেপে প্রশংসা appeared first on Sangbad Pratidin.