সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে ইসলামিক মৌলবাদীরা। কারাক জেলার টেরি গ্রামের ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এবার ওই মন্দিরটি সরকারি খরচে পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের ৩০ তারিখে কারাক জেলার টেরি গ্রামে ১০০ বছরের একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে আগুন ধরিয়ে দেয় জামাত-ই-ইসলামি নামে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল শুরু হয় চারিদিকে। ফলে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হয় ইসলামাবাদকে। ভারতের তরফেও ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় পাকিস্তানের কাছে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে মন্দিরগুলির জায়গা দখল করা হয়েছে সেগুলিও পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া নির্দেশ দিল সংশ্লিষ্ট ইপিটিবি (EPTB) কর্তৃপক্ষকে। রায়ে এই ঘটনায় অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু কমিশনের প্রতিনিধিরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় মন্দির ধ্বংসের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। এই ঘটনা গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মাথা হেঁট করেছে বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে পাকিস্তানের উদ্বাস্তু সম্পত্তি ট্রাস্ট বোর্ডকে ফের মন্দিরটি ফের তৈরি করে দিতে বলেন। সেই সঙ্গে ওই সংস্থাকে নির্দেশ দেন পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় থাকা মন্দির ও গুরুদ্বার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য। এই তথ্য পাওয়ার পর ওই মন্দির ও গুরুদ্বারগুলিকে দখলমুক্ত করা হবে বলেও জানান।
[আরও পড়ুন: ‘দারুণ দৃশ্য’, আমেরিকায় ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় উল্লসিত চিনের কমিউনিস্ট পার্টি]
এদিকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) প্রদেশের পুলিশ প্রধান জানান, এখনও পর্যন্ত কারাক জেলার টেরি গ্রামের হিন্দু মন্দির ধ্বংসের এই ঘটনায় ১০৯ জন জড়িত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফলাতির অভিযোগে কারাক জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।