সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর রাশিয়ায় ব্রিকস সামিটের মাঝে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। যেখানে যুযুধান প্রতিপক্ষকে মোদি সাফ জানিয়ে দিলেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার। পাশাপাশি নয়াদিল্লি যে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর, এদিন সেই প্রচ্ছন্ন বার্তাও দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক তৎপরতা কমানো এবং দুই দেশের টহলদারির বিষয়ে একমত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার কাজান শহরে বৈঠকে বসে এশিয়ার দুই সুপার পাওয়ার। আলোচনার টেবিলে কার্যত মোদির বার্তা ছিল, গালওয়ান সংঘর্ষের মতো ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না হয়, এছাড়াও গত কয়েক বছরে সীমান্তে লালফৌজের তৎপরতা, মানচিত্র বিকৃতি, তৎসহ বেজিংয়ের অযৌক্তিক দাবিকে ভারত যে ভালো চোখে দেখছে না, সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে সীমান্তে শান্তিই যে অগ্রাধিকার, জিনপিংকে সাফ বার্তা দেন মোদি।
এদিন মোদি তাঁর চিনা প্রতিপক্ষকে বলেন, "আমাদের মাথায় রাখতে হবে ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং গোটা পৃথিবীর শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির জন্য জরুরি।" এর পরেই সীমান্তে শান্তির কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মন্তব্য করে্ন, "পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতা জরুরি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য।" পালটা জিনপিং বলেন, "আমাদের দুই দেশের মানুষ এবং গোটা পৃথিবী এই বৈঠকের দিকে গভীর মনোযোগে তাকিয়ে।" জিনপিং একমত হন, উভয়পক্ষে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। বলেন, "আমাদের মধ্যেকার পার্থক্য এবং মতবিরোধকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।"
সূত্রের খবর, এদিন এশিয়ার দুই সুপার পওয়ারের মধ্যে গ্লোবাল সাউথ নিয়েও কথা হয়েছে। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এশিয়ার ছোট দেশগুলির কণ্ঠস্বর ভারতই। তবে দুই দেশই একে অপরকে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছে। ভারত-চিনের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের কথা স্মরণ করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।