সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। ১৯ নভেম্বর ২০২৪-এ ১০০০ দিন পূর্ণ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর কত দিন? কবে থামবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ? সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি, খুব শিগগির ইউক্রেনের বাতাস থেকে অতীত হতে পারে বারুদের গন্ধ। কারণ যুদ্ধাবসানে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! তবে যুদ্ধ থামাতে বেশ কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন তিনি। কী সেই শর্তগুলি?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাবেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন রিপাবলিকান নেতা। এদিকে দুবছর ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যে আমরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের মাপের ইউক্রেন ভূখণ্ড দখল করেছে পুতিনের সেনা। এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পড়শি দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাত। এই অবস্থায় কোনও পক্ষই চাইছে না যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক।
মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্প মধ্যস্থতা করলে যে কোনও ধরনের চুক্তিতে রাজি হতে পারেন পুতিন। রয়টার্স জানাচ্ছে, পাঁচ প্রাক্তন ও বর্তমান রুশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে। তবে প্রধান দুই শর্ত রয়েছে পুতিনের। প্রথমত যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে দিতে হবে। শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনও ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেন। এই শর্তগুলি পূরণ হলে শান্তি ফিরতে পারে ইউক্রেনে।