shono
Advertisement
Xi Jinping

বুধবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-জিনপিং, দুই রাষ্ট্রনেতাকে দেখা গেল নৈশভোজেও

পাঁচ বছর পর মুখোমুখি হবেন মোদি ও জিনপিং।
Published By: Biswadip DeyPosted: 09:59 AM Oct 23, 2024Updated: 09:59 AM Oct 23, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নৈশভোজে একসঙ্গে দেখা গেল তাঁকে। বুধবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা দুই রাষ্ট্রনেতার। গত পাঁচ বছর তাঁদের মধ্যে কোনও বৈঠক হয়নি। দুদিন আগেই ভারত ও চিন দুদেশই জানিয়েছে, সীমান্তের সংঘাত মেটাতে একমত হয়েছে দুই দেশ। মনে করা হচ্ছে, বরফ গলছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই মোদি-জিনপিং বৈঠক ঘিরে কৌতূহল রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।

Advertisement

মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ব্রিকস নেতারা নৈশভোজে যোগ দেন। সেখানেই মোদিকে দেখা যায় জিনপিংয়ের একটি আসন পরেই। সেখানে ছিলেন বাকি রাষ্ট্রনেতারাও। এদিকে গত সোমবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত দিল্লি-বেজিং। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও সেই বক্তব্যেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। যা থেকে পরিষ্কার, এবার সীমান্তে বন্দুক নামিয়ে রাখতে একমত হয়েছে দুই দেশ।

মোদির সফরের আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ”গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরে সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ পদক্ষেপ করবে।” তবে সীমান্তে নজরদারি চলবে।

প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার রাশিয়ার মাটিতে পা রেখেছেন মোদি। দুদিন সেদেশে থাকবেন তিনি। কাজান শহরের কোরস্তোনের একটি হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থাকার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নমোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। হোটেলে পৌঁছতেই তাঁদের দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদি। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি সেলফিও তুলতে দেখা যায় সকলকে। পরে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন মোদি। বলেন, ”আমরা বিশ্বাস করি শান্তিপূর্ণ পতেই সমাধান সম্ভব। শান্তি ও স্থায়িত্ব ফেরাতে সমস্ত প্রয়াসকে আমরা পরিপূর্ণ সমর্থন জানাই।” আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর কামানের গর্জনের মধ্যেই ফের লড়াই থামাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পক্ষেই জোরালো সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
  • আর সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নৈশভোজে একসঙ্গে দেখা গেল তাঁকে।
  • বুধবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা দুই রাষ্ট্রনেতার।
Advertisement