সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দিন বাড়ছে চিনের আগ্রাসন। ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে চোখ রাঙাচ্ছে চিন (China)। এহেন পরিস্থিতিতে ফের ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। তাছাড়া, লালফৌজের আগ্রাসী গতিবিধির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ তৈরি করতে চলতি মাসেই বৈঠকে বসতে চলেছে ‘Quadrilateral Security Dialogue’ বা QUAD-এর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: পাক সংসদে বিরোধীদের ধাক্কা, আস্থা ভোটে জয়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান]
সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলি সম্পর্কে চিনের আগ্রাসী মনোভাব এবং তার নিরিখে আমেরিকার নীতি নির্ধারণের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির প্রধান পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় সচিব কলিন কাহাল। শুক্রবার সেনেটে প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির কাছে এই বিষয়ে এক রিপোর্টে পেশ করেছেন কাহাল। তিনি জানিয়েছেন, লালফৌজের আগ্রাসী কার্যকলাপে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। চিনের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারত-সহ অন্যান্য দেশের পাশে দাঁড়াবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। কাহাল সাফ বলেছেন, “আমরা প্রতিবেশী সহযোগী দেশগুলিরই পাশে আছি। ভারত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী”। তিনি আরও বলেন, “প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, চলতি মাসেই বৈঠকে বসতে চলেছে QUAD-এর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মিলে তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসন বলেই খবর। এশিয়ায় চিনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রশমিত করতে চায় আমেরিকা। এদিকে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কও খুব ভাল পরিস্থিতিতে নেই। সেই জায়গা থেকে কৌশলগত ভাবে আরও কাছাকাছি এসেছে দুই দেশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) লয়েড অস্টিন ( Defense general Lloyd Austin)। উল্লেখ্য, লয়েডই আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা সচিব। তাঁর সফরে দু’দেশের আগামী চার বছরের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী সহযোগী। সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় আমেরিকার নবনির্বাচিত বাইডেন প্রশাসন। নির্বাচিত হওয়ার দু’মাসের মধ্যে ভারতে তাদের প্রতিরক্ষা সচিবকে পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।