সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (British PM) পদে ভারতের জামাই ঋষি সুনাকের বসার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবারই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপিরা নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন। তার আগেই একান্তে বৈঠক করলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,দু’জনের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরে তাঁদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। অন্যজনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, দু’জনেই চাইছেন দলের এমপিরা যেন একমত হয়ে একজনকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেন। সেখানেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ঋষি (Rishi Sunak)।
সোমবার ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে ভোট দিয়ে দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেখানে যদি একমাত্র ব্যক্তি হিসাবে কোনও পদপ্রার্থী ১০০ জনের বেশি এমপির সমর্থন পান, তাহলে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। সেই লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ভারতের জামাই ঋষি সুনাক। অন্তত ১২৮ জন এমপি তাঁকে সমর্থন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল ইটালি, শপথ নিলেন ‘মুসোলিনিপন্থী’ মেলোনি]
তবে এই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে ঋষি-বরিসের বৈঠক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দলীয় এমপিদের কথা শুনেই দু’জন মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। তারপরে সংশ্লিষ্ট নেতাকে ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইতে থাকবেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাও অনেকেই জানতেন না, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইতে কে থাকবেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ঋষি সুনাক।
এখনও পর্যন্ত একজনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি হাউস অফ কমন্সে টোরি পার্টির নেত্রী পেনি মরড্যান্ট। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে বেশ এগিয়ে রেখেছেন ব্রিটেনবাসী। তবে পেনি তার খুব একটা সদ্ব্যবহার করতে পারবেন বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব থাকবে শুধুমাত্র এমপিদের হাতে। ঋষি-বরিস সমঝোতার ফলে পেনির দিকে এমপিদের ভোট পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পরবর্তী বাসিন্দা কে হবেন, তা নিয়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়ছে গোটা ব্রিটেন জুড়ে।