সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাকসিন নিলে অটিজম হয়! কৃষ্ণাঙ্গরাই বেশি করে কোভিডে আক্রান্ত হয়! এমনই নানা আজব মন্তব্য করার 'নজির' রয়েছে তাঁর। সেই রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে নিজের ক্যাবিনেটের স্বাস্থ্যসচিব হিসাবে বেছে নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্লেখ্য, সম্পর্কে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাইপো হন আমেরিকার নতুন স্বাস্থ্যসচিব।
দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে নিজের ক্যাবিনেটে একঝাঁক নতুন মুখকে জায়গা দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য রবার্ট। জানা গিয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসের প্রধান হচ্ছেন তিনি। এছাড়াও ওষুধ, ভ্যাকসিন, খাদ্যসুরক্ষার মতো একাধিক বিষয়ও থাকবে রবার্টের নজরদারিতে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। রবার্টকে নতুন পদে নিয়োগ করে ট্রাম্পের বার্তা, "বহুদিন ধরেই খাদ্যসুরক্ষার ভুল নীতির জেরে ভুগেছে আমেরিকা। সেই মহামারী দূর করে আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করবেন কেনেডি।"
উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কেনেডি নিজেও। জো বাইডেনের তুমুল বিরোধিতা করে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেন। তবে সেভাবে সাড়া না মেলায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রবার্ট। বদলে ট্রাম্পকে সমর্থন করেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে। ধীরে ধীরে ট্রাম্পের 'কাছের লোক' হয়ে ওঠেন তিনি। প্রচারে একসঙ্গে দেখাও যায় তাঁদের। নির্বাচনী প্রচার থেকেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জেতার পরে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে রবার্টকে বসাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার কেনেডি পরিবার। সেই পরিবার থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন জন কেনেডি। তাঁরই ভাইপো রবার্ট জুনিয়র। দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তবে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন আমেরিকার নতুন স্বাস্থ্যসচিব। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেনেডির মন্তব্যের তুমুল বিরোধিতা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরে হু-য়ের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কেনেডির মন্তব্য একেবারে ভুল। আগামী দিনে আমেরিকার জনস্বাস্থ্য নিয়ে কী পদক্ষেপ করেন 'বিতর্কিত' কেনেডি, নজর গোটা বিশ্বের।