সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা করে ইউক্রেনে। প্রথম দিনই চেরনোবিল চলে যায় রুশ (Russia) সেনার দখলে। সেই সময় ইউক্রেনীয়রা সেনাকে নিষেধ করেছিলেন চেরনোবিলের (Chernobyl) জঙ্গলে পরিখা খনন না করতে। কেননা ওই এলাকা পুরোপুরি তেজস্ক্রিয়। কিন্তু সেই বারণ শোনেনি পুতিনের সেনা। আর তার ফলে ওই সেনাকর্মীরা ভুগতে শুরু করেছেন তেজস্ক্রিয়তার (Radiation) অসুখে।
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরে যে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা আজও ভোলেনি বিশ্ব। আপাত ভাবে ৩১ জনের মৃত্যু হলেও বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার কবলে পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাতারাতি এক জনবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল চেরনোবিল। সেই চেরনোবিল রাশিয়ার দখলে চলে যেতেই আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বিলকিস বানো মামলা: সুপ্রিম চাপে কাগজ দেখাতে রাজি কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার]
অবশেষে জানা গেল, রুশ সেনার পরিণতির কথা। সত্য়িই হল আশঙ্কা। চেরনোবিল কিয়েভের ১৩০ কিমি উত্তরে। রুশ সেনা পরিত্যক্ত জঙ্গলের দখল নিয়ে সেখানকার রিঅ্যাক্টর কুলিং চ্যানেলের জলে মাছও ধরে বলে জানা যাচ্ছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ৬ মাইল দূরে ক্যাম্প খাটিয়ে অবস্থান করছিল সেনা। সেখানে ঘুরে বেড়ানো পশুদের গুলি করে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। আর তার ফলেই তেজস্ক্রিয়তার শিকার হতে হচ্ছে সেই সেনাকর্মীদের। পরে সেই অঞ্চল ছেড়ে তাঁরা বেরিয়েও যান বলে জানা গিয়েছে। তখন থেকেই ঘনীভূত হচ্ছিল আশঙ্কা। অবশেষে সেটাই সত্য়ি হল বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগ।