সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সংঘাতের পথে হাঁটছে রাশিয়া ও আমেরিকা। কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধবিমানের ‘হামলায়’ মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের জেরে কার্যত মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। এহেন পরিস্থিতিতে ফোনে জোর তরজা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। দু’জনের মধ্যে বেশ উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয় বলে খবর। ফোনালাপের কথা জানিয়েছে রুশ বিদেশমন্ত্রকও। এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, “রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে আমেরিকা বিমান চালনা করবেই।” পেন্টাগনের বক্তব্য, “কৃষ্ণসাগরে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই উড়ছিল আমাদের একটি MQ-9 নজরদারি ড্রোন। কিন্তু রাশিয়ার দু’টি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে সেটিকে আটকে দেয়।”
[আরও পড়ুন: ১০ লক্ষ তিব্বতি শিশুকে কেড়ে নিয়েছে চিন! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
এদিকে, ড্রোন ধ্বংস নিয়ে আমেরিকাকে (America) একহাত নিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার উপর অত্যাধিক নজরদারির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। রুশ বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, আমেরিকা উসকানি দিলে কড়া জবাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের উপকূলে কৃষ্ণসাগরের (Black Sea) উপরে মাঝ আকাশে একটি মার্কিন নজরদারি ড্রোনের সঙ্গে সংঘাত হয় রাশিয়ার দু’টি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমানের। ফলে ধ্বংস হয়ে যায় মার্কিন যানটি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনা একে ‘বেপরোয়া’ বলে তোপ দেগেছে। তাদের অভিযোগ যেভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে তা কার্যতই ‘অপেশাদার’ মানসিকতার পরিচয়। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাস থেকে তলব করা হয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে।