সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলে জল্পনা, প্রেসিডেন্ট হলে কি শেখ হাসিনাকে হারানো গদি ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করবেন রিপাবলিকান নেতা? উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আওয়ামি সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনের একেবারে চূড়ান্ত পর্বে এসে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন ট্রাম্প। দীপাবলি উপলক্ষে বিশেষ বার্তা দিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে বাংলাদেশে। লাগাতার আক্রমণ করে লুটপাট চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অশান্তি। আমার নজরে থাকলে এমনটা কখনই হতে পারত না।” সঙ্গে সাফ জানিয়েছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা বারবার উপেক্ষা করেছেন হিন্দুদের। আমেরিকার হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন নির্বাচনের আবহে রিপাবলিকান প্রার্থীর এই মন্তব্য ঘিরে দুরকম মত উঠে আসছে ওয়াকিবহাল মহলে। একদল মনে করছেন, হিন্দু ভোট টানতেই এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু অন্য পক্ষের দাবি, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন রিপাবলিকান নেতা। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একাধিকবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাইডেন-কমলার ভুল সংশোধন করবেন। তার পর থেকেই চর্চা চলছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে কি বাংলাদেশের 'হাল ফেরাতে' উদ্যোগী হবেন ট্রাম্প?
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সেভাবে সদ্ভাব নেই। সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। সেসময়ে বিল ক্লিন্টন ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউনুসের। তার পর থেকেই অনেকে মনে করেন, ইউনুসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আওয়ামি লিগ সরকারকে 'উৎখাত' করেছে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু রিপাবলিকান শিবিরের সঙ্গে ইউনুসের সেভাবে সখ্য নেই। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারেন ট্রাম্প। তার ফলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পদ্মাপারে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।