সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইউক্রেনে। আমেরিকার দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে। আমেরিকার তরফে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ল বিশ্বের। কারণ, সম্প্রতি পরমাণু নীতি বদল করেছে রাশিয়া। এর পর এই হামলার জবাব হিরোসিমা-নাগাসাকির মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার ব্রায়ানক্স অঞ্চলে 'আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম' বা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। রাশিয়াতে ৫টি মিসাইল ছোড়া হয়। যদিও সবকটি মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। সেই ধ্বংসাবশেষের জেরে এক সামরিক অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। যদিও তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ইউক্রেনের তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে তারা ওই অঞ্চলে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় গোটা বিশ্বের নজর এখন পুতিনের দিকে।
কারণ, সম্প্রতি পরমাণু নীতিতে বদল এনেছে রাশিয়া যেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হলে সরাসরি ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে দায়ী করবে ক্রেমলিন। এক্ষেত্রে পরমাণু শক্তিধর কোনও রাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র যদি রাশিয়ার মাটিতে আঘাত হানে সেক্ষেত্রে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন রাষ্ট্রের উপরও পরমাণু হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না ক্রেমলিন। পরমাণু নীতি এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ন্যাটোর হামলা হিসেবে দেখা হবে। যার পরিণতি, পালটা চলতে পারে পরমাণু হামলা। এর পর ইউক্রেনের এই হামলায় পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়তে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাইছিল ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে যুদ্ধে সহায়তা করছে এমন দাবি করে দূরপাল্লার এই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ইউক্রেনকে দিয়েছে আমেরিকা। এর পরই রাশিয়ায় এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। যার রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার। এহেন ইউক্রেনের তরফে অস্ত্র ব্যবহার রাশিয়ার চাপ বাড়াবে তা বলাই যায়। পরিণতিতে নীতি বদলে পরমাণু হামলার রাস্তাও খুলে রেখেছে রাশিয়া। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির।