সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুষমা স্বরাজ যখন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় তাঁকে ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ’ বলে মনে হয়নি তাঁর। বরং বর্তমান বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে তিনি অপরিসীম গুরুত্ব দেন। এমনটাই দাবি প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর (Mike Pompeo)।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চ: ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’। সেখানেই তাঁকে এমন দাবি করতে দেখা গিয়েছে। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? পম্পেও সুষমা (Sushma Swaraj) সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ভারতের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমার আসল ‘কাউন্টার পার্ট’কে ভারতের বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বলে মনে হয়নি। বরং আমি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে প্রধানমন্ত্রীর অনেক বেশি ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত বলে মনে হত।’
[আরও পড়ুন: চিনের কাছে জমি হারাচ্ছে ভারত, লাদাখের বহু পেট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া! রিপোর্ট পুলিশকর্তার]
এরপরই জয়শংকর (S Jaishankar) সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘আমার দ্বিতীয় ভারতীয় ‘কাউন্টার পার্ট’ এস জয়শংকর। ২০১৯ সালের মে মাসে আমরা ভারতের নতুন বিদেশমন্ত্রী হিসেবে ‘জে’কে স্বাগত জানাই। আমার ওঁকে দারুণ লাগে। সাতটি ভাষায় উনি কথা বলতে পারেন, ইংরাজি তার মধ্যে অন্যতম। এবং উনি আমার চেয়েও কখন ভালো।’ এখানেই শেষ নয়। আরও প্রশস্তিতে তিনি ভাসিয়ে দিয়েছেন জয়শংকরকে। ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে ‘পেশাদার, যুক্তিবাদী এবং তাঁর ‘বস’ (অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদি) এবং দেশের একজন শক্তিশালী রক্ষক’ বলেও বর্ণনা করেছেন। পম্পেও জানিয়েছেন, প্রথম সাক্ষাতেই তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন জয়শংকরের প্রতি।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতেই পড়েছেন জয়শংকর। তাঁর প্রতি পম্পেওর মুগ্ধতা সত্ত্বেও যেভাবে সুষমা স্বরাজকে তিনি ‘অসম্মান’ করেছেন তার প্রতিবাদ করেছে বিদেশমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মে মাসে নতুন করে ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেবছরই আগস্ট মাসে প্রয়াত হন সুষমা। ২০১৪ থেকে ২০১৯- এনডিএ সরকারের প্রথম পর্যায়ে বিদেশমন্ত্রী ছিলেন তিনি। জওহরলাল নেহরুর পরে তিনিই প্রথম বিদেশমন্ত্রী যিনি ৫ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছিলেন।