সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত অক্টোবরের গোড়াতেই প্রায় ১৭ লক্ষ শরণার্থীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আফগান। এনিয়ে আফগানিস্তানের তালিবান শাসক ও ইসলামাবাদের মধ্যে তুঙ্গে উঠেছে সংঘাত। দুই পড়শি দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা এই বিবাদ থামাতে এবার আসরে নেমেছে আমেরিকা।
সীমান্ত বিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও শরণার্থী ইস্যুতে ইসলামাবাদ ও কাবুলের (Kabul) মধ্য চওড়া হচ্ছে ফাটল। একাধিকবার সীমান্তে খণ্ডযুদ্ধও বেঁধেছে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে। এই প্রেক্ষাপটে বিবাদ থামাতে এবার আসরে নেমেছে আমেরিকা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এনিয়ে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ককে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাই দুই দেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধানের পথে এগোনোকেই সমর্থন করে আমেরিকা। এই বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা এনিয়ে আলোচনা করেছি। আগামিদিনেও আমরা পদক্ষেপ করব।”
এদিন পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মিলারকে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে আমেরিকার কোনও হাত নেই। বলে রাখা ভালো, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গদিচ্যুত করার পিছনে আমেরিকার (US) দিকে ষড়যন্ত্রের আঙুল তোলা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর ইজরায়েলি ফসফরাস বোমায় ক্ষতবিক্ষত লেবানন! প্রশ্নের মুখে আমেরিকা]
উল্লেখ্য, ১ নভেম্বরের মধ্যে আফগান শরণার্থীদের পাকিস্তান (Pakistan) ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ। তার পরই পাক ফৌজের হাতে হেনস্তার সম্ভাবনায় আতঙ্কিত বহু আফগান শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করে দেন। অন্যদিকে, ইসলামাবাদের এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো খেপে লাল তালিবান। প্রত্যাঘাতের হুমকিও দিয়ে রেখেছে মোল্লা আখুন্দজাদার দল। আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘আফগান শরণার্থীদের প্রতি পাকিস্তানের এই আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, এর আগে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় পাক সেনা ও আফগান তালিবান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি পৃথক ঘটনায় পাক সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের (Afghanistan) নিমরোজ ও নানগরহার প্রদেশে সীমান্ত বরাবর বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। কিন্তু সেই ফেন্সিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেখানে মোতায়েন তালিবান সীমান্তরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে পাক ফৌজিদের গুলি করারও হুমকি দেয় তারা।