সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোহিত সাগরে হামলা না থামালে ফল ভুগতে হবে হাউথিদের। ইয়েমেনের এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে সতর্কবার্তা দিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ১২টি দেশ। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরা। ফলে লোহিত সাগরে ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার হাউথিদের ১৮টি ড্রোন ও ৩টি মিসাইল গুলি করে নামাল মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা। এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকার ফৌজ।
রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ লোহিত সাগর। সেখানে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের পথে হামলা চালানোর চেষ্টা করে হাউথিরা (Houthi)। ড্রোন হামলার পাশাপাশি ছোড়া হয় মিসাইলও। কিন্তু সেই আক্রমণ রুখে দেয় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা। এই বিষয়ে মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, গত বছরের ১৯ নভেম্বরের পর থেকে লোহিত সাগরে এটা হাউথিদের ২৬তম হামলা। ১৮টি ড্রোন, দুটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুশ মিসাইল ও একটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইল গুলি করে নামায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা। তবে বিশেষ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
[আরও পড়ুন: ভেঙে পড়বে অর্থনীতি, ভারতীয় পর্যটক ফেরাতে কাকুতি-মিনতি মালদ্বীপের!]
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে (Red Sea) হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় যুদ্ধ থামাচ্ছে ইজরায়েল ততদিন হামলা চলতে থাকবে। বেছে বেছে ইজরায়েলপন্থী দেশগুলোর জাহাজে হামলার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় বাণিজ্যতরীতে ড্রোন হামলা চালায় হাউথিরা। যা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে দেন, সমুদ্রের গভীর থেকেও হামলাকারীদের খুঁজে বের করবে ভারত। বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই হাউথিদের তিনটি নৌকা ধ্বংস করে দেয় মার্কিন ফৌজ।
চলতি মাসেই লোহিত সাগরে হামলা চালানো নিয়ে হাউথিদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বেশ কয়েকটি। মার্কিন আধিকারিকদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হাউথিরা যদি আক্রমণ না থামায় তাহলে ফল ভুগতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের সব সতর্কবার্তাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে হাউথিরা। যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে। ব্যাঘাত ঘটছে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে।