সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এডেন উপসাগরে (Gulf of Aden) ফের অশান্তির আগুন। উত্তেজনা বাড়িয়ে হাউথিদের ১০টি ড্রোন ধ্বংস করল আমেরিকা। সেই সঙ্গে ইরানের (Iran) তিনটি ড্রোনও গুলি করে ধ্বংস করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। তবে গোটা ঘটনায় কারোওর হতাহতের খবর মেলেনি। উল্লেখ্য, সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর দিকে। এবার তাদের পালটা দেওয়ার পথে হাঁটছে আমেরিকা।
মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এডেন উপসাগরে তিনটি ইরানি ড্রোন ও হাউথিদের (Houthi) মিসাইল ধ্বংস করেছে মার্কিন নৌসেনা। জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার জন্য তৈরি হচ্ছিল হাউথি মিসাইলটি। সেই সঙ্গে ইয়েমেনের (Yemen) অন্তত ১০টি হামলাকারী ড্রোনও ধ্বংস করা হয়েছে এডেন উপসাগর এলাকায়। ঘাঁটি থেকে আমেরিকার দিকে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ১০টি ড্রোন। তবে গোটা ঘটনায় ইরান বা হাউথিদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: নির্মলার বাজেট বক্তৃতায় প্রজ্ঞানন্দের নাম, দেশের খেলাধুলো নিয়ে আর কী বললেন?]
প্রসঙ্গত, গত দুমাস ধরে লোহিত সাগরে মার্কিন বাণিজ্যতরীতে হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট হাউথি জঙ্গিরা। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার জেরে মৃত্যু তিন মার্কিন সেনার। আহত অন্তত ৪০ জন। এই ঘটনার পরে কড়া বিবৃতি জারি করে জবাব দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তা সত্ত্বেও মার্কিন বিদেশনীতি নিয়ে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। অবিলম্বে ইরান ও তার মদতপুষ্টদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু হোক, এই দাবিতে সুর চড়িয়েছেন আমেরিকার বিরোধী সাংসদরা। তার পরেই বুধবার এডেন উপসাগরে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনা যুদ্ধ শুরু করলে আরও বাড়বে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট। ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের পাশাপাশি শুরু হতে পারে আমেরিকা-ইরান সংঘাতও। তবে বাইডেনের মতে, দুই দেশের কেউই যুদ্ধের পথে হাঁটতে চায় না বলেই তাঁর বিশ্বাস।