সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার চিনের দক্ষিণ গুয়াংঝাউ প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭ বিমান (Boeing 737 aircraft)। সেই ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পার। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জীবিতের হদিশ মেলেনি। তার মধ্যেই সামনে এসেছে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার শেষ তিন মিনিটের হাড়হিম করা ভিডিও।
ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তের ফুটেজ। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেখানকারই এক কয়লা সংস্থার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মাঝ আকাশ থেকে একেবারে ৯০ ডিগ্রি কোণে অর্থাৎ নাক বরাবর মাত্র ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ২৯০০০ ফুট থেকে সোজা ৯ হাজার ৭৫ ফুটে নেমে আসে বিমানটি। এরপর মাত্র ২০ সেকেন্ডে আরও ৩২২৫ ফুট নামতেই বিমানের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় এই পথ অতিক্রম করতে একটি বিমানের অন্তত আধ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এভাবে নিচে নেমে এল বিমান? এখনও সেই কারণ স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবহাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটল কি না কিংবা পাইলট আগেভাগে কোনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে বিজেপি, মিলল মামলা দায়েরের অনুমতি]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে বিমানের ধ্বংসাবশেষও। চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু প্রাণের কোনও সন্ধান মেলেনি। আসলে পাহাড়ের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ায় আশপাশের গাছেও সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। সেই কারণেই ১৩২ জনের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মর্মাহত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China President)। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি ছয় বছরের পুরনো। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংকে ঘিরেও উঠছিল প্রশ্ন। প্রসঙ্গে বোয়িং সংস্থা জানিয়েছিল, এক্ষেত্রে নতুন জেনারেশন বোয়িং ম্যাক্স জেট ব্যবহার করা হয়নি। কারণ, মালয়েশিয়া, ইথিওপিয়ায় একাধিকবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বোয়িং ম্যাক্স জেট। এবার তাই ২০১৯ সালে নয়া জেনারেশনে এই বোয়িংগুলি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।