সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবরই অভিবাসীদের পাশে থেকেছেন নিউ ইয়র্কের নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। কয়েকদিন আগেই তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। অভিবাসী নীতিতে যিনি মামদানির ঠিক বিপরীত হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু তারপরও নিজের অবস্থানে অটল মামদানি। নিউ ইয়র্কে অভিবাসন দপ্তরের হানা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। মেয়র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিউ ইয়র্ক বরাবরই উদ্বাস্তুদের শহর ছিল। ভবিষ্যতেও তা থাকবে। অভিবাসীদের সুরক্ষায় তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আগামী ১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে শপথ নেবেন মামদানি। তার আগে অভিবাসীদের নিয়ে নিজের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন পরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও বার্তায় মামদানি বলেন, “বিচারকের স্বাক্ষরিত পরোয়ানা ছাড়া মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা স্কুল, বাড়ি, কর্মক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করতে পারেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নিজেদের অধিকার আপনাদের জানতে হবে। অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করলে, তাঁদের বাধা দেওয়ার অধিকার আপনাদের রয়েছে। আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)-এর মিথ্যা বলার আইনি অধিকার রয়েছে। আপনাদেরও তেমন চুপ করে থাকার অধিকার রয়েছে। তাঁর সংযোজন, “নিউ ইয়র্ক সর্বদা অভিবাসীদের স্বাগত জানায়। অভিবাসী ভাই ও বোনদের সুরক্ষায় আমি প্রতিদিন লড়াই করব।”
প্রসঙ্গত, মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। তাঁর বাবা বিখ্যাত লেখক মাহমুদ মামদানি। তিনি মুম্বইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে, জোহরানের মা হলেন স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক মীরা নায়ার। জন্মের কিছু বছর পর মামদানি নিউ ইয়র্কে চলে যান। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বাসিন্দা। এই কুইন্স শহরে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশির বাস। সেখানে থাকতে থাকতেই বাংলা ভাষা রপ্ত করেছেন মামদানি। সমাজমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে বাংলা ভাষাতেও কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। সস্তায় খাদ্য,বস্ত্র এবং বাসস্থান – নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য এই তিন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন মামদানি।
