সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাদের বাস গভীর সমুদ্রের অন্ধকার প্রদেশে। মৎস্যজীবীদের জালে বন্দি হয়ে সেই হোয়েল শার্কদেরই একজন ধরা পড়ল অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh)। বন দপ্তরের তৎপরতায় ২ টন ওজনের মাছটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হল সমুদ্রে। কারণ বিশ্বের বৃহত্তম মাছ (World’s largest fish) হোয়েল শার্ক এক অতি বিপন্ন প্রজাতি। এই পৃথিবীর জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য় তাদের বেঁচে থাকা একান্তই দরকার।
বিশাখাপত্তনমের তনতড়ি সমুদ্র সৈকতে মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে এই অতিকায় মাছটি। এরপর খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বন দপ্তরের কর্মীরা। তাঁদের তত্ত্বাবধানে মাছটিকে ফের ফিরিয়ে দেওয়া হয় সমুদ্রে। যদিও কাজটি সহজ ছিল না। জেলা বন আধিকারিক তথা ডিএফও অনন্ত শংকর জানিয়েছেন, ”কীভাবে নিরাপদে মাছটিকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তা খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। কিন্তু কাজটা ছিল শ্রমসাধ্য। শারীরিক ও মানসিক, দুই দিক থেকেই। বন দপ্তরের দুর্দান্ত সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত মৎস্যজীবী ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারীরা ২ টন ওজনের মাছটিকে জীবন্ত অবস্থাতেই সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এবং পুরো বিষয়টিই সাফল্যের সঙ্গে করা সম্ভব হয়েছে। হোয়েল শার্কটি সাঁতরে সমুদ্রের গভীরে চলে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: চিনে খুঁজে পাওয়া গেল ৮০০০ বছরের পুরনো মদ, কী রয়েছে তাতে?]
সেই সঙ্গে বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও এই মাছের দেখা পেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তা দপ্তরকে জানানো হয়। সবক্ষেত্রেই যেন মাছটিকে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাল ছিঁড়ে গেলে বা অন্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দেওযা হবে।
উল্লেখ্য, হোয়েল শার্কই বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাছ। সাধারণ ভাবে একটি পূর্ণবয়স্ক হোয়েল শার্ক ১৮ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ হয়। সাধারণত কর্কটক্রান্তীয় অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। ৮০ থেকে ১৩০ বছর পর্যন্ত আয়ু হয় এদের। চেহারায় তিমি ও হাঙরের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় এদের হোয়েল শার্ক বলে ডাকা হয়।