সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেনেডি স্পেস সেন্টার, লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯। ইতিহাস সৃষ্টি করে এখান থেকেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’। ‘ওয়ান স্মল স্টেপ ফর ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড’। চাঁদের মাটিতে পা রেখেই বলেছিলেন অ্যাপোলো অভিযানের নায়ক নীল আর্মস্ট্রং। তারপর বহু দশক কেটে গিয়েছে। অজানাকে জয় করার দুর্বার ইচ্ছা আরও বেড়েছে মানুষের। ফলে ফের শুরু অভিযান। তাই চাঁদ জয়ের পর এবার লক্ষ্য মঙ্গল। স্থানীয় সময় মতে মঙ্গলবার ইতিহাস সৃষ্টি করে আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকেই লালগ্রহের উদ্দেশে ডানা মেলল বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী রকেট ‘ফ্যালকন হেভি’। অত্যাধুনিক এই রকেটটি বানিয়েছে মার্কিন গবেষক তথা শিল্পপতি এলন মাস্ক-এর সংস্থা SpaceX।
এদিন ফ্লোরিডার মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় ‘ফ্যালকন হেভি’ রকেটের। প্রায় ১৮ টি ‘৭৪৭ জেট’ বিমানের সমান ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের। সংস্থাটির দাবি, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী কার্যক্ষম রকেট হচ্ছে ‘ফ্যালকন হেভি’। এতে রয়েছে ২৭টি ইঞ্জিন ও ৩টি বুস্টার। এদিন উৎক্ষেপণ দেখার জন্য ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ। কাউন্টডাউন শেষ হওয়া মাত্র প্রচণ্ড গর্জন করে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ‘ফ্যালকন হেভি’। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই রকেটের আওয়াজে কানে তালা ধরে যায় উপস্থিত জনতার। ইঞ্জিন থেকে বেরোনো পাহাড় সমান ধোঁয়ার মেঘে ঢেকে যায় চারিদিক। উল্লেখ্য, পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে মহাকাশের গভীরে কোনও বস্তু পাঠানোর ক্ষেত্রে এটিই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগ। ‘পে-লোড’ হিসেবে নিজের একটি গাড়ি ও প্রতিমূর্তি রকেটটিতে পাঠিয়েছেন এওন মাস্ক। তিনি জানান, মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা হবে এই পে-লোড।
মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য রকেটের তুলনায় অনেক বেশি ভার বহনে সক্ষম ‘ফ্যালকন হেভি’। পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার পাউন্ড ও মঙ্গলের কক্ষপথে প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড পে-লোড পৌঁছে দিতে সক্ষম এটি। ভবিষ্যতে মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করতে কাজে লাগানো হতে পারে এই রকেটটিকে। শুধু তাই নয় মহাকাশচারীদের অভিযানে পাঠানোর জন্যও ফ্যালকন ব্যবহার করতে পারে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
The post বড় সাফল্য বিজ্ঞানীদের, মঙ্গলে পাড়ি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী রকেটের appeared first on Sangbad Pratidin.