সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেজবোল্লার সম্ভাব্য প্রধানকে নিকেশ করতে বড়সড় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তার পর থেকে নাকি খোঁজ মিলছে না জঙ্গি নেতার। সূত্রের খবর, লেবাননের দক্ষিণে একটি এলাকায় বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন হেজবোল্লার সম্ভাব্য প্রধান হাশেম সফিউদ্দিন। কিন্তু ইজরায়েলি হানার পরে ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না উদ্ধারকারী দলগুলোকে। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হেজবোল্লাও।
দিনকয়েক আগে খবর মেলে, এবার নাসরাল্লার উত্তরসূরিকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে ইজরায়েল। গত বুধবার রাত থেকে বেইরুটে বিমান হানা চালিয়েছে ফৌজ। তাদের মূল নিশানা হাশেম সফিউদ্দিন। ঘটনার সময়ে তিনি হেজবোল্লার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে ইজরায়েলি হানায় হাশেমের মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। তেল আভিভ বা হেজবোল্লার তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি সরকারিভাবে।
শুক্রবার এই হামলার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হাসান নাসরাল্লার পরে হেজবোল্লার আরেক প্রধানও নিকেশ হল ইজরায়েলি হামলায়? লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দানিয়েহর যে এলাকায় সফিউদ্দিন বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন সেখানে আছড়ে পড়েছে ইজরায়েলের বিমানবাহিনীর মিসাইল। কিন্তু সেখানে উদ্ধারকারীদের কাজ করতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, লেবাননে হামলা চালানোর পরে সেদেশে কতটা 'সাফল্য' এল সেটা নিয়ে ধন্ধে ইজরায়েলও। আদৌ কি নাসরাল্লার উত্তরসূরি বেঁচে রয়েছেন? উত্তর নেই তেল আভিভের কাছে।
তবে হেজবোল্লা প্রধানের খবর না মিললেও লেবাননে হামলা থামাচ্ছে না ইজরায়েল। শনিবার রাতেও ভয়াবহ হামলা হয়েছে বলে লেবাননের সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে। ইজরায়েলি সেনার তরফেও হানার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বেইরুটে লাগাতার দুঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্রের দাবি, স্থলপথে হামলা শুরুর পরে সেনা ৪৪০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ৩০ জন কমান্ডারও।