সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পদক খরা কাটল। প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির হিসেবে দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দিলেন সাক্ষী মালিক। ওলিম্পিকের দ্বাদশ দিনে তাঁর এই অনন্য নজিরের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব।
একে একে সাইনা, লিয়েন্ডার, অভিনব, সানিয়া, শ্রীজেশরা যখন হার মেনে নিয়েছেন, তখন পদক জয়ের দাবিদার হিসেবে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পিভি সিন্ধু। সাক্ষী কি ছিলেন সেই পদক জয়ের সম্ভাব্যদের তালিকায়? হয়তো না। হয়তো ছিলেন, কিন্তু অনেক পিছনের দিকে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে সিন্ধুর লড়াই শেষ হওয়ার আগেই দেশবাসীর কষ্টকর প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন হরিয়ানার কুস্তিগির সাক্ষী। ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তি বিভাগে কিরগিজস্তানের আইসুলু টাইবেকোভাকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক ঘরে তুললেন সাক্ষী।
অপ্রত্যাশিত কেন? কারণ প্রথম বাউটে ৫-০-তে এগিয়ে ছিলেন আইসুলু। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কড়া ‘হরিয়ানবি’ প্যাঁচে প্রতিদ্বন্দ্বীকে মাটি ধরিয়ে বাজিমাত করলেন তিনি। রূদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ৮-৫ পয়েন্ট নিয়ে মঞ্চ ছাড়লেন সাক্ষী।
এদিন প্রথমে রেপেশাজ রাউন্ড টু-তে মঙ্গোলিয়ার ওরকনের বিরুদ্ধে ১২-৩ জেতেন তিনি। তারপর ব্রোঞ্জ জয়ের লড়াইয়ে নামেন। ব্রোঞ্জ পদকটা নিশ্চিত জানার পরমুহূর্তেই কোচ কুলদীপ সিং ছুটে এসে সাক্ষীকে কাঁধে তুলে কুস্তির মঞ্চ ঘোরালেন। আর ভারতের তেরঙ্গা ওড়ালেন ২৩ বছরের কুস্তিগির। এই দৃশ্য দেখারই তো অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
ইতিহাস তৈরি করে দেশের নাম উজ্জ্বল করায় সাক্ষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মোদি টুইট করেছেন, “রাখী বন্ধনের শুভ মুহূর্তে দেশের মেয়ে সাক্ষী ব্রোঞ্জ জিতে দেশকে গর্বিত করেছে। ওর জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।”
তাঁর আগে মাত্র তিন জন ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড়ের কাছ রয়েছে ওলিম্পিক্সের পদক। ভারোত্তলক কর্ণম মালেশ্বরী, বক্সার মেরি কম এবং শাটলার সাইনার নেহওয়ালের পর চতুর্থ মহিলা হিসেবে ওলিম্পিকে পদক জয়ের নজির গড়লেন সাক্ষী। উচ্ছ্বসিত কুস্তিগির বলছিলেন, “রিওর মাটিতে দেশের পতাকা ওড়ানোর ইচ্ছে ছিল। অবশেষে সেটা করতে পারায় দারুণ লাগছে। হরিয়ানায় এখন উতসবের মেজাজ। হবে নাই বা কেন। সাক্ষীই তো এখন হরিয়ানার ‘সুলতান’।
The post রিওতে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস কুস্তিগির সাক্ষীর appeared first on Sangbad Pratidin.