সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৪৪ রানের বিশাল টার্গেট অনুসরণ করতে নেমে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ভারত শুরুটা ভালই করতে চলেছে তখনই ধাক্কা। স্কট বোল্যান্ডের বলে স্লিপে ক্যামেরুন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন ফর্মে থাকা শুভমান গিল। ৪১ রানের মাথায় গিলের সেই উইকেটে ছন্দ নষ্ট হয়ে গেল ভারতীয় দলের।
কিন্তু প্রশ্ন হল গিল কি সত্যিই আউট ছিলেন? কারণ ক্যামেরুন গ্রিন সঠিকভাবে শুভমানের ক্যাচ নিয়েছেন কিনা, সেটা সম্ভবত হলফ করে তিনিও বলতে পারবেন না। বোল্যান্ডের (Scot Boland) বলে স্লিপে ক্যাচ ওঠার পর সেটিকে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন গ্রিন। কিন্তু সঠিকভাবে তিনি ক্যাচ লুফেছেন নাকি তার আগেই সেটি মাটি ছুঁয়ে গিয়েছে, সেটা মাঠের আম্পায়ার বুঝতে পারেননি। তিনি সিদ্ধান্তের ভার দেন থার্ড আম্পায়রের কাঁধে। টেলিভিশন রিপ্লে-তে দেখে মনে হয়েছে গ্রিন বল স্পষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সেটি মাটি ছুঁয়েছে। অন্তত সামনের দিকে থেকে তেমনটাই মনে হয়েছে। আবার উলটো দিকের রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে হয়তো বল মাটিতে ছোঁয়ার সময় গ্রিনের দুটি আঙুল বলের নিচে ছিল। কিন্তু কোনওভাবেই সেটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না যে ক্যাচটি সঠিক ছিল। কিন্তু বারবার দেখার পরও সেটিকে আউট দেন। গিলকে (Subhman Gill) ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ও দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: চুপ, শব্দ কোরো না, লাবুশেন ‘ঘুমোচ্ছেন’! ‘জেগে উঠে’ কারণ জানালেন অজি তারকাই]
রোহিত শর্মা সঙ্গে সঙ্গেই এই আউট দেওয়া নিয়ে আম্পায়ারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর গিলের চোখে মুখেও স্পষ্ট হতাশা ধরা পড়ে। এমনকী সে সময় মাঠে উপস্থিত দর্শকরা ‘চিট’, ‘চিট’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে বিদ্রুপ করেন মাঠে উপস্থিত ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: রাহানেকে পালটে দিয়েছেন স্টিভ ওয়া! দাবি প্রাক্তন অজি কোচের]
প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেও গিলের উইকেট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। রিকি পন্টিংয়ের মতো প্রাক্তনকে বলতে শোনা যায়,”বল গ্রিনের হাতে পৌছানোর সময় মাটির থেকে ছ’ইঞ্চি ফাঁকা ছিল। কিন্তু সেটি যে ক্যাচ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে মাটি স্পর্শ করেনি, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তাই রোহিত এবং গিলের হতাশা স্বাভাবিক।” কুমার সাঙ্গাকারাও বলেন, “গ্রিনের আঙুল বলের নীচে থাকলেও বল মাটি স্পর্শ করেনি, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এমনও হতে পারে বল মাটি ছোঁয়ার জন্যই গ্রিন ভাল ভাবে বল ধরতে পেরেছে। এসব ক্ষেত্রে সচরাচর আম্পায়াররা আউট দেন না।” নেটদুনিয়াতেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।