সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওহরলাল নেহরুর পঞ্চশীল নীতি মেনে চলা উচিত বলে মন্তব্য করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নানা দেশের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই পাঁচ নীতি ওই সময়ের প্রয়োজনকে মিটিয়েছিল। ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও খুবই প্রয়োজনীয় ছিল এই নীতি। উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে প্রণীত হয়েছিল এই পঞ্চশীল নীতি। চলতি বছরে এই নীতি প্রণয়নের ৭০ বছর পূর্তি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়াজুড়ে শুরু হয় ঠাণ্ডা লড়াই। কার্যত দুভাগে ভাগ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। সেই সময়েই ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ বেছে নেয় জোট নিরপেক্ষ নীতি। আমেরিকা বা রাশিয়া- কোনও শিবিরেই নাম না লিখিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখাই ছিল এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য। যুগোস্লাভিয়া, ভারত-সহ একাধিক দেশ ছিল আন্দোলনের সদস্য। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিল ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়’ বলে নির্বাচনী প্রচারে জাতিবিদ্বেষী আক্রমণ বিরোধীদের! পালটা জবাব সুনাকের]
এই আন্দোলনের অন্যতম ভিত্তি ছিল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) মস্তিষ্কপ্রসূত পঞ্চশীল নীতি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় রেখে পাঁচটি নীতি প্রণয়ন করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, "প্রত্যেক দেশের সার্বভৌমত্ব এবং দেশীয় অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে, আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করা যাবে না, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যাবে না, সাম্য ও পারস্পরিক উপকার করতে হবে, এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে। ১৯৫৪ সালের ২৯ এপ্রিল তিব্বত ইস্যুতে ভারত ও চিনের বাণিজ্যচুক্তির সময়ে প্রথমবার এই পঞ্চশীল নীতির কথা প্রকাশ্যে আসে।
দীর্ঘ ৭০ বছর পরে নেহরুর সেই পঞ্চশীল নীতির কথা ফিরে এল চিনা প্রেসিডেন্টের মুখে। জিনপিংয়ের (Xi Jinping) মতে, বর্তমান সময়ের যাবতীয় সংঘাত মেটাতে এই নীতি প্রাসঙ্গিক। তাছাড়াও চিনা প্রেসিডেন্ট মনে করেন, পশ্চিমি দুনিয়ার সঙ্গে গ্লোবাল সাউথের দ্বন্দ্বের আবহে এই পঞ্চশীল নীতি জনপ্রিয় হতে পারে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে। উল্লেখ্য, এই সম্মলনে হাজির ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপক্ষে সহ চিন-ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর নেতারা। সেখানে এই বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।
[আরও পড়ুন: সামনে একাধিক বিধানসভা নির্বাচন, বিজেপি সভাপতি পদে বাড়তে পারে নাড্ডার মেয়াদ]