সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃস্বপ্নের সেই রাত এখনও ভোলেননি যশ দয়াল (Yash Dayal)। তাঁর ওভারেই পাঁচ-পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন।
গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল নাইটদের। মিরাকল ঘটান রিঙ্কু। যশ দয়ালকে মাঠের যত্রতত্র ছুড়ে ফেলেন বাঁ হাতি রিঙ্কু সিং। প্রবল সেই মার হজমের পরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
যশ দয়ালের জার্সির রং এখন বদলেছে। গুজরাট টাইটান্স থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার তিনি। দল বদলালেও পুরনো ক্ষতে যে পুরোদস্তুর প্রলেপ পড়েছে এমনটা নয়। আরসিবির 'বোল্ড ডায়রিজ'-এ দয়াল বলেছেন, ''ওই ওভার আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে গিয়েছে। সেই ওভার শিখিয়ে দিয়েছিল কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় কীভাবে, তাও শিখিয়েছিল।''
[আরও পড়ুন: ‘সবাইকে খতম করা হবে’, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আইএসের হুমকি ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ]
গত বছরের ওই ম্যাচের শেষ ওভারের জন্য আদৌ কি তৈরি ছিলেন? হয়তো নয়। অনলাইনে তাঁকে গালমন্দ করা হয়েছিল। যশের বাবা নিজেও ক্রিকেটার ছিলেন। সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গেও খেলেছেন। ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন বাবাও। যশের মা রাধা দয়ালকে শান্ত রাখা যায়নি। নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।
গুজরাটের সাজঘরে অবশ্য সেই অভিশপ্ত ওভার নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। অপরাধীর মতো সাজঘরে ঢোকেন যশ দয়াল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ''ওরা এমন ভাব করছিল, যেন কিছুই হয়নি। আশিস নেহরা আমাকে সবসময়ে বলতেন, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সামনের দিকে তাকাও। আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মা ভেঙে পড়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন খাননি কিছুই।''
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পরে যশ দয়ালকে মেসেজ করেছিলেন রিঙ্কুও। গুজরাটের বোলারকে মোটিভেট করার চেষ্টাও করেন কেকেআর তারকা। সেই প্রসঙ্গে যশ বলেন, ''রিঙ্কু আর আমি ভালো বন্ধু। আমি স্পোর্টিংলিই বিষয়টা নিয়েছি। তবে আমার সিনিয়ররা বলেছিলেন, আজকাল সোশাল মিডিয়া বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। এর থেকে দূরে থেকো।।''