সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রে ইউপিএ (UPA) সরকার থাকাকালীন পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো আক্রমণাত্মক ছিলেন যোগগুরু রামদেব। সেসময়ের বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে রীতিমতো রাস্তায় নেমে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল রামদেবকে (Ramdev)। কেন্দ্রে পালাবদল হতেই রামদেবের মেজাজ যেন বদলে গিয়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, তেলের দাম বাড়া নিয়ে প্রশ্ন করাতেই রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন যোগগুরু। সঙ্গে তাঁর দাম্ভিক পরামর্শ, “অসুবিধা হলে বেশি করে কাজ করুন এবং নিজের রোজগার বাড়ান।”
বলে রাখা দরকার, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে যোগগুরু রামদেব এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে পেট্রলের (Petrol) দাম লিটারপ্রতি ৪০ টাকায় নেমে আসবে। সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন রামদেবকে। সাংবাদিকদের সেই প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান যোগগুরু। ক্ষুব্ধ স্বরে তিনি বলেন,”হ্যাঁ তখন আমি বলেছিলাম দাম কমবে। তাতে হয়েছে টা কী? আমাকে বারবার এসব প্রশ্ন করবেন না। এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ঠিকা নিয়ে বসে নেই আমি।”
[আরও পড়ুন: শান্তি ফিরছে উত্তরপূর্বে! নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুরে কমল বিতর্কিত AFSPA’র ভৌগলিক এলাকা]
এরপর অবশ্য খানিকটা সুর নরম করে রামদেব বলেন,”সরকার বলছে জ্বালানির দাম যদি কম হয়, তাহলে ওরা কর পাবে না। কর না পেলে দেশ চলবে কী করে? বেতন দেবে কী করে? রাস্তা তৈরি করবে কী করে? হ্যাঁ আমিও মনে করি মুদ্রাস্ফীতি কমা উচিত। কিন্তু একইসঙ্গে মানুষের উচিত আরও পরিশ্রম করা। এমনকী আমিও ভোর ৪টেয় ঘুম থেকে উঠে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করি।” যোগগুরুর বক্তব্য, আমি যদি সন্ন্যাসী হয়ে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারি, তাহলে আপনারা কেন পারবেন না?
[আরও পড়ুন: ‘যাঁরা মদ খান তাঁরা ভারতীয় নন, মহাপাপী’, মদ্যপায়ীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন নীতীশ কুমার]
প্রসঙ্গত, গত ১০ দিনে ন’ বার বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Hike) দাম। যার জেরে বৃহস্পতিবার কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ডিজেল (Diesel)। পেট্রলের দাম পেরিয়েছে ১১০ টাকা। রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে হাজারের কোঠায়। সব মিলিয়ে জ্বালানির জ্বালায় জর্জরিত জনতা। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এহেন মানববিরোধী পদক্ষেপের বিরোধিতায় একযোগে সরব বিরোধী দলগুলি।