সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তার এক জ্বলন্ত প্রমাণ হিসেবে দেখা গিয়েছে গঙ্গায় ভাসমান মৃতদেহের সারি। যার মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। গত বৃহস্পতিবারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস পাঠিয়েছিল যোগী সরকারকে। আর এরপরই পরিস্থিতি সামলাতে এবার আরও কড়া হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আঞ্চলিক সশস্ত্র কনস্টেবল বাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন নদীর তীর বরাবর টহলদারি চালাতে। যাতে আর কোনও ভাবেই কেউ নদীতে মৃতদেহ না ভাসাতে পারে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও আগামী ১৪ দিন মিলবে এসব পরিষেবা, দেখে নিন একঝলকে]
মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পেশ করা এক বিবৃতিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, গ্রামের উন্নয়ন আধিকারিকদের গঠিত কমিটি ও গ্রামের মুখিয়াদেরও দায়িত্ব থাকবে যেন কেউ করোনায় মৃত ব্যক্তিকে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা করোনায় মারা যাচ্ছেন তাঁদের দেহ যেন যথাযখ সম্মানপূর্বক দাহ করা হয়। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শেষকৃত্যের খরচের জন্য তহবিল গঠন করেছে। এরপরও কেউ নদীতে শবদেহ ভাসানোর চেষ্টা করলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে সকলকে নদী পরিষ্কার রাখার বিষয়ে সচেতন করতে। তবে এজন্য শহর ও গ্রামের উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগগুলিকেও দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে প্রথম দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় সারি দিয়ে শবদেহ ভেসে যাচ্ছে। বক্সারে ৭০টির বেশি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পাওয়া যায়। একই দিনে গাজিপুরে দেখা যায় ১২টি মৃতদেহ। দাবি ওঠে, ওই মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তদের। তবে সেই দাবি এখনও প্রমাণিত হয়নি।