সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিট বিতর্কের মাঝেই এবার লাগাতার প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া আইনের পথে উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রশ্নফাঁস রুখতে বিধানসভায় পাশ করা হবে নয়া আইন। যেখানে এই ধরনের অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। শীঘ্রই বিধানসভায় পেশ হবে নতুন এই আইন।
মঙ্গলবার বৈঠকের পর প্রশ্নফাঁস রুখতে নয়া আইনের মঞ্জুরি দেয় উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভা। যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, পদোন্নতি পরীক্ষা, ডিগ্রি-ডিপ্লোমা, যে কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বা কোনও শংসাপত্রে জালিয়াতির ঘটনায় অপরাধীদের ২ বছর থেকে যাবজ্জীবন শাস্তি হবে। পাশাপাশি ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে অপরাধীদের। শুধু প্রশ্নফাঁস নয়, ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়ানো বা ভুয়ো সেবা মূলক ওয়েবসাইট চালানোর মতো অপরাধেও একই শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যদি কোনওভাবে কোনও পরীক্ষা প্রভাবিত হয় সেক্ষেত্রে যে সংস্থা বা ব্যক্তি সেই ঘটনায় যুক্ত থাকবে তাঁর বা তাঁদের কাছ থেকে পুরো পরীক্ষার খরচ আদায় করা হবে। এক্ষেত্রে সম্পত্তি ক্রোক করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অধ্যাদেশে। এমনকী এমন ঘটনায় জামিন আটকাতেও কড়া ব্যবস্থার বিধান দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লি হাই কোর্টেও ধাক্কা, আপাতত জেলেই কেজরি]
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই নয়া অধ্যাদেশ। বিধানসভায় আইন পাশ হওয়ার পর রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই এই অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের RO-ARO পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। যার জেরে বাতিল করতে হয় পরীক্ষা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। পাশাপাশি যোগীরাজ্যে পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষাতেও ঘটে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার প্রশ্নফাঁসে কড়া আইনের পথে হাঁটছে যোগী সরকার।
অন্যদিকে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। সোমবার সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধী শিবির। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাংসদ হিসেবে শপথ নিতে গেলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'নিট, নিট' স্লোগান তোলে বিরোধীরা। পাশাপাশি দিল্লিতে শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফা ও নিট বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের। তাঁদের আটকাতে লাঠিচার্জও করতে হয় দিল্লি পুলিশকে।