সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টগবগে গরম জলে ফুটছে চাল। হয়ে ওঠা ভাতের সুবাসে ম ম করছে রান্নাঘর। বাঙালির ঘরদুয়ারে এ খুব চেনা ছবি। প্রিয়ও বটে। ভেতো বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। সুতরাং ভাতের গন্ধ যে প্রিয় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু জানেন কি, ঠান্ডা জলেও চাল থেকে ভাত হয়? হ্যাঁ, কোমল প্রজাতির চালের এটাই গুণ।
[ জাতীয় পতাকায় ১৭ বার বদল, কালী স্যারের জিম্মায় সযত্নে সেই ইতিহাস ]
পরীক্ষামূলকভাবে নদিয়ার ফুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোমল প্রজাতির ধানের চাষ শুরু করেছে কৃষি দপ্তর। কেন এই ধানের চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে? এ এমন একটি ধান, যেটির চাল ঠান্ডা জলেই ভাতে পরিণত হতে পারে। মূলত আমন প্রজাতির এই ধানে আছে বিরল গুণ। কিন্তু বিন্দুমাত্র তাপ না দিয়েই কীভাবে চাল থেকে হচ্ছে ভাত? জানা যাচ্ছে, আধ ঘণ্টাখানেক এই চাল জলে ভিজিয়ে রাখলেই তা চিড়ের মতো ফুলে উঠবে। এটাকেই ভাত বলা হচ্ছে। ঠিক ফোটানো ভাতের মতো না হলেও এ এক বিশেষ রকমের ভাত। যা টকদই বা গুড় সহযোগে দিব্যি খাওয়া যায়। নদিয়ার ফুলিয়ায় রাজ্য সরকারের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষকরা এ নিয়ে টানা প্রায় এক দশক গবেষণা করেছেন। অবশেষে এসেছে সাফল্য। এ চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার প্রায় নেই। কীটনাশক নামমাত্র দিলেও চলে। ফলে চাষীদের মধ্যে বেড়েছে এই ধান ফলানোর প্রবণতা।
[ গর্বের মুহূর্ত, সবথেকে বড় তেরঙ্গা উড়িয়ে নজির বাংলার ]
এছাড়া রাজ্য সরকারের তরফেও বীজ বণ্টন করে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। নদিয়ার কৃষকরা জানাচ্ছেন, কোমল ধান চাষে খরচও কম। আর যাঁরা এই চালের ভাত খাচ্ছেন তাঁদের জ্বালানি খরচও হচ্ছে না। ফলে দু’জনেই লাভবান হচ্ছেন। ঠিক এই কারণেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে কোমল ধান। নদিয়ার পাশাপাশি এবার ধান উৎপাদন হয় এমন জেলাগুলির কৃষি খামারেও কোমল প্রজাতির ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি খামারে উৎপাদিত ধানের বীজ চাষিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
The post ঠান্ডা জলেই হবে ভাত, এই প্রজাতির চালের খোঁজ রাখেন? appeared first on Sangbad Pratidin.