দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে প্রাণ গেল কিশোরের (Youth)। প্রেমিকার বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হল দেহ। শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রিষড়ার বারুজীবী নতুন পল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় কিশোরের নাবালিকা প্রেমিকা ও তার বর্তমান প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে অভিযুক্ত প্রেমিকার বাড়ির পাশের একটি হোগলা বনের ভিতরে কিশোরের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোরের গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতের নাম অশোক প্রসাদ (১৭)। মৃতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ প্রেমিকা, তার বাবা-মা এবং কিশোরীর বর্তমান প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
[আরও পড়ুন: জনতার পাশে সরকার, এবার দুয়ারে শিবিরেই রেশন-আধার যোগ]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিশোরের গলায় গামছার ফাঁস লাগানো ছিল। মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রেমিকার বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকের সঙ্গে একই এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আবার অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এর পরই অশোকের সঙ্গে কিশোরীর সম্পর্কের অবনতি হয়। জানা গিয়েছে, অশোক বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এই নিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে অশোকের রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার রাতে অশোক বাড়ি থেকে সঙ্গে বেরোনোর পর আর বাড়ি ফেরেনি। শনিবার সকালে তাকে প্রেমিকার বাড়ির পাশে হোগলা বনে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ সম্পর্কে মৃতের মাসি নন্দা সরকারের অভিযোগ, কিশোরীর বর্তমান প্রেমিক অর্জুন মাঝেমধ্যেই তার বোনপোকে খুনের হুমকি দিত। কিশোরীর কিছু জিনিস অশোকের কাছে ছিল। সেই জিনিস ফেরত দেওয়ার জন্য অর্জুন হুমকি দিত। এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর অশোকের মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সেই মোবাইলটি প্রেমিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। এতে পুলিশের সন্দেহ অনেক গুন বেড়ে যায়। মৃতের মামা সঞ্জয় সরকার উত্তরপাড়া থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করার পরই পুলিশ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।