অর্ণব আইচ: https://transcendlogisticscorpgroup.com ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল যুবক। ওই সাইটে ঢুকে জিনিসপত্র কিনেই বিপত্তি। কলকাতার ব্যবসায়ীর খোয়া গেল ৫২ লক্ষ টাকা। যদিও লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার তৎপরতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছে? সম্প্রতি কলকাতার (Kolkata) এক ব্যবসায়ী লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন, দিনকয়েক আগে https://transcendlogisticscorpgroup.com এই ওয়েবসাইট ঢুকে বেশ কিছু জিনিসপত্র অর্ডার দেন। দেশের একটি এবং থাইল্যান্ডের দু’টি ব্যাংকে মোট ৫২ লক্ষ টাকাও জমা দেন তিনি। তবে টাকা পৌঁছনোর পর মালপত্র পাননি। এভাবে বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। সে কারণেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
[আরও পড়ুন: নেশার টাকা দিতে আপত্তি, মাকে খুনের পর ডোবায় দেহ ফেলল ছেলে]
ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেই জানতে পারে ওই ওয়েবসাইটটি (Website) আদতে ভুয়ো। বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই বিহার থেকে পুলিশ শিবু সারাং রায় নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে প্রতারণা চক্রটি চালাত সে। ধৃতের সঙ্গে বিহারের দ্বারভাঙা জেলারও যোগসূত্র রয়েছে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।
যত দিন যাচ্ছে সাইবার ক্রাইম সমানে বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম দামে কিনতে পারবেন এই লোভে সাইট সংক্রান্ত কোনও খোঁজখবর না নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটি করবেন না। আর কেনাকাটি করলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও দেবেন না। ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা না থাকলে সেই সমস্ত নাম না জানা ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটি না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।