সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাতি দামী মোবাইল ফোন চেয়েছিল। সেই আবদার মেটাতে পারেননি ঠাকুরমা। তার খেসারত যে এভাবে চোকাতে হবে, তা কে জানত! নেশাগ্রস্ত নাতি ঠাকুরমা মুন্ডু কেটে ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে রাখল। সকালে উঠে সেই নৃশংস দৃশ্য দেখেই আঁতকে উঠলেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের থানে।
অভিযুক্তের নাম খ্রিস্টোফার ডায়াস। বয়স ২৪ বছর। স্কুল জীবন থেকেই মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল সে। সুস্থ করতে রিহ্যাবেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই খরচ চালাতে পারছিল না পরিবার। তাই ফের তাকে বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল। বাড়ির দোতলায় খ্রিস্টোফারের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকতেন। আর একতলায় থাকতেন তাঁর বয়স্ক ঠাকুরমা রোজি।
[আরও পড়ুন : কেরল সোনা পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে দাউদ ইব্রাহিম, আদালতে জানাল NIA]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে. সোমবার রাত দেড়েটা নাগাদ খ্রিস্টোফার নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রোজির ঘরে যায়। ঠাকুরমা কাছে একটি দামী মোবাইল কিনে দেওয়ার আবদার করে। কিন্তু ঠাকুরমা তাতে রাজি হয়নি। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয়। রাগের মাখায় ঠাকুরমার ঘাড়ে কোপ বসায় নাতি। এরপরেও অনুশোচনা তো দূরে থাক, কাটা মুন্ডু বাড়ির ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে সে ঘুমোতে চলে যায়। পরেরদিন সকালে তাঁরই খুড়তুতো ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখে একতলা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে খ্রিস্টোফারের বাবাকে ডাকে। তারপরই নজরে আসে ডাইনিং টেবিলে সাজানে মুন্ডটার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন :ভারতের মোট জিডিপি বাংলাদেশের ১১ গুণ! IMF-এর আশঙ্কা উড়িয়ে ঘোষণা কেন্দ্রের]
মঙ্গলবারই খ্রিস্টোফারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। খ্রিস্টোফারের এমন আচরণে হতবাক গোটা পরিবার।