অর্ণব দাস, বারাসত: বাগুইআটির (Baguhati) কাণ্ডের ছায়া বারাসতে! সম্প্রতি শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার চাঁপাপুকুর স্টেশনের কাছে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। দেহটি শনাক্ত হওয়ার পরই বুধবার বারাসত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করল পরিবার। একইসঙ্গে রেল পুলিশ এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
যদিও সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ অস্বীকার করে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মিসিং ডায়েরির তিনদিনের মধ্যেই পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করেছে। এখানে সমন্বয়ের অভাবের কোনও বিষয় নেই। এদিন মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: মোমিনপুরের অশান্তির পরই বাংলা নিয়ে বিস্ফোরক উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়, পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের]
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনির বাসিন্দা ভূতনাথ মণ্ডল গত ৬ অক্টোবর নিমতলা শশ্মানে এক পরিচিতর দাহকার্য করতে যান। তারপর থেকেই যুবকের খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবারের সদস্যরা। গত ৮ তারিখ এবিষয়ে পরিবারের তরফে বারাসত থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। ৯ তারিখ লালবাজারের দ্বারস্থ হয় ভূতনাথের পরিবার। এরপর লালবাজারের মিসিং স্কোয়াড থেকে যুবকের পরিবারকে জানানো হয়, বারাসত জিআরপি এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে। সেইমতো মঙ্গলবার যুবকের পরিবার বারাসত জিআরপি থানায় গিয়ে ভূতনাথের দেহ শনাক্ত করে।
জিআরপির থেকেই মৃত যুবকের পরিবার জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার দিনেই যুবকের মৃতদেহ শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার চাঁপাপুকুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল। এরপরই রেল পুলিশ এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। একইসঙ্গে বুধবার বারাসত থানায় পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই বিষয়ে মৃত যুবকের আত্মীয় জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুই থানার সমন্বয়ের অভাবের কারণেই দেহ উদ্ধারের পরেও আমরা জানতে পারিনি। এটা ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়। আমাদের ধারণা ওকে খুন করে দেহ রেললাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভূতনাথের কাছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকার হদিশও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”