অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: গাছের ডালে যুবকের ঝুলন্ত দেহ। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নিশিন্দা থানার অন্তর্গত সাপুইপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই যুবকের নাম দীপক মেহেরা (২৬)। খুন না আত্মহত্যা সেই নিয়ে ধন্দে পুলিশও। কারণ যুবকের কানে হেডফোন ছিল। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মুখে মাস্ক, কানে হেডফোন। এই অবস্থাতেই ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বেলুড় (Belur) জিআরপি থানার কাছে রেল লাইনের কিছুটা দূরে একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তাঁরা খবর দেন রেলপুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলুড় জিআরপি-র আধিকারিকরা। কিন্তু এলাকাটি নিশ্চিন্দা থানার অধীনে হওয়ায় পরবর্তীতে থানায় খবর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু, ‘সুপরিকল্পিত খুন’, অভিযোগ স্ত্রীর]
এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই যুবকের দেহটি উদ্ধার করে। প্রথমে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ওই যুবককে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, দীপক বর্ধমান জেলার মাধবপুরের বাসিন্দা। কিন্তু তিনি এখানে কেন এসেছিলেন? তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাছাড়া যে অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায় তা নিয়ে কিছু রহস্য ডানা বাঁধছে। গলায় গামছার ফাঁস লাগানো থাকলেও দীপকের পা মাটিতে ছিল। সেক্ষত্রে খুনের সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কানে হেডফোন ও পকেটে মোবাইল ছিল ওই যুবকের। সেক্ষত্রে কারওর সঙ্গে কথা বলতে বলতে আত্মহত্যা করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে মোবাইলের মধ্যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। মোবাইলটির লক খোলার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।