অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে হাওড়া জেলায় প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। ফলে এই শিল্পে জেলায় প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো কাশফুল দিয়ে বালিশ কিংবা হাঁসের পালক দিয়ে কক তৈরির মতো ছোট ও মাঝারি শিল্পে হাওড়া জেলা অনেকটাই এগিয়েছে। আর তাই আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে হাওড়ায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে প্রায় ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের। হাওড়ায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
এদিন মন্ত্রী আরও জানান, হাওড়া জেলার এমন একটি ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে যে এখানে যে কোনও উদ্যোগপতিই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আর তাই আগামিদিনে এখানে অনেকগুলি শিল্প পার্ক হবে। যেমন ইতিপূর্বেই রাজ্য সরকার ৪টি শিল্প পার্ক হওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। যাতে করে একদিকে সাধারণ মানুষের নানা জিনিসের চাহিদা মিটবে। অন্যদিকে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। হবে প্রচুর বিনিয়োগও।
[আরও পড়ুন: ‘খোঁজখবর রাখিস, মেয়েটা একা আছে’, অনুব্রতকন্যার দিকে নজর রাখার পরামর্শ মমতার]
হাওড়ার শরৎসদনে সিনার্জি অ্যান্ড বিজনেস ফেসিলিটেশন কনক্লেভ বা ক্ষুদ্র শিল্পের সম্মেলন হয়। অনুষ্ঠানে দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ছাড়াও রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে-সহ হাওড়া জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। শরৎসদন চত্বরে জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্যোগপতিদের জন্য হেল্প ডেস্কও খোলা হয়। বিভিন্ন ব্যাংকের আধিকারিকরাও সিনার্জিতে ছিলেন। ব্যবসা করতে গিয়ে নানা সমস্যার কথা উদ্যোক্তারা হেল্প ডেস্ক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও ব্যাংকের আধিকারিকদের জানান। তাঁরা সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
এই সম্মেলনে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যনিধি প্রকল্প চালু করছেন। এই প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা করে ঋণ পাওয়া যাবে যার গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার নিজে। এই প্রকল্প চালু হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগীরা অনেকটাই সুবিধা পাবেন। এদিন সম্মেলন থেকে উদ্যোক্তাদের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পস্থাপনে উৎসাহ ভাতা তুলে দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলির তরফেও বিভিন্ন উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান করা হয়।