মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের কাশ্মীরে (Kashmir) যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম এক জঙ্গি (Terrorist)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযান এখনও চলছে। নিহত জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার চারসু এলাকা। আগে থেকেই খবর ছিল এখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে। এরপরই সেখানে জঙ্গিবিরোধী যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এলাকা সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলে তারা। বেগতিক দেখে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। এরপরই সেনার গুলিতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: টুর্নামেন্ট চলাকালীনই বুলেটে ঝাঁজরা কবাডি খেলোয়াড়, ক্যামেরাবন্দি চাঞ্চল্যকর মুহূর্ত]
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে ভারতে জঙ্গি হামলার পর কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রকে। পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনা। বিরোধীরা এই বিষয়ে কটাক্ষ করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার বলেন, এটা নতুন ভারত। দেশের ওপর হামলা হলে প্রত্যাঘাত করা হবে। কিন্তু এমন প্রত্যাঘাতের পরও নিয়মিত জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। যেনতেন প্রকারেণ এই ধরনের অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া কেন্দ্রও।
সম্প্রতি মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স তাদের রিপোর্টে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সঙ্গে ইসলামাবাদের জঙ্গি উসকানির বিষয়টিকেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ভারত বারবার যে দাবি করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে। রিপোর্টে সরাসরি বলা হয়েছে, “দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে পাকিস্তান সমর্থন করছে, যারা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে থাকে।” এর পরেই বলা হয়েছে, “বিগত সরকারগুলির তুলনায় ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে অনেক বেশি সক্রিয়।” পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে দু’ দেশের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দু’টি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে তেমনটা ঘটলে তা মারাত্মক হতে পারে।