সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বজ্রপাতের কবলে বিহারে (Bihar) মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। গত সপ্তাহেই ১৬ জনের মৃত্যুর পরে ফের শনিবার মারা গেলেন ১০ জন। অর্থাৎ ২৪ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বাজ (Lightning) পড়ে ২৬ জনের মৃত্যু হল রাজ্যে। আগামিকাল ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার শুধু সারান জেলাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৬ জন। এছাড়া সিওয়ান, হাজিপুর, বাঁকা ও গোপালগঞ্জ জেলাগুলির প্রত্যেকটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আচমকা পরিজনদের মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ। শোকে ভাসছে নিহতের পরিবার।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাঁধে আমেরিকার বন্দুক! কিয়েভকে নতুন সামরিক প্যাকেজ দিচ্ছে ওয়াশিংটন]
প্রবল বৃষ্টিতে ভিজছে বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত। রাতে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়াও বইতে দেখা গিয়েছে। একাধিক জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছ। শনিবার থেকেই উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম বিহারে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘনঘন বজ্রপাত। বারাউনিতে বৃষ্টি হয়েছে ৯৩.২ মিমি। এছাড়া মোহানিয়া, বীরপুর, ঘোসি ও হার্নাতে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ৮৬.৬ মিমি, ৬৮.৮ মিমি, ৬৫.৪ মিমি ও ৫৯.২ মিমি। আবহওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, রবিবারও প্রবল বৃষ্টি হবে। সোমবারের আগে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জুন মাসে বিহারে বজ্রপাতের কবলে পড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে ২০ জুন মারা ১৭ জন। নিহতদের মধ্যে ছ’জন ভাগলপুর এবং তিনজন বৈশালীর বাসিন্দা। খাগাড়িয়া, বাঁকা, কাটিহার, শাহারশা, মাধেপুর এবং মুঙ্গের জেলার দু’জন করে বাসিন্দা বজ্রাঘাতের বলি হন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন আরও ২৬ জন।
পরিসংখ্যান বলছ, গত ৫ বছরে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে বজ্রপাতের কবলে পড়ে। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে খেতে চাষবাস, কিংবা নদীতে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। বাড়িতে থাকলে ছাদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও মৃত্যুমিছিল থামার নাম নেই।