সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রন (Omicron)। নতুন বছরের শুরুতেও সেই ধারা অব্যাহত রইল। সম্ভবত করোনার (Covid) নতুন স্ট্রেনের দাপটেই একলাফে অনেকটা বেড়ে গেল দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজারেরও বেশি। অ্যাকটিভ কেস লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ১০ মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন একথা জানান সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Deputy Chief Minister Ajit Pawar) ।
শনিবার মন্ত্রী ও বিধায়কদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানোর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের সময় কমানো হচ্ছে বলেও জানান অজিত পাওয়ার। বলেন, “সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে যে রাজ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। এই কারণেই বিধানসভার অধিবেশন কমিয়ে ৫ দিন করা হয়েছে। আমাদের ১০ জন মন্ত্রী ও ২০ জন বিধায়ক ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: দেশে ওমিক্রনের প্রথম বলি মহারাষ্ট্রের প্রৌঢ়]
রাজ্যে লকডাউন হতে পারে কিনা প্রশ্ন করা হলে অজিত পাওয়ার বলেন, “লকডাউন জারি করার আগে আমরা দেখে নিতে চাইছি দিন প্রতি কী হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যদি দ্রুত হারে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই থাকে তবে বাধ্য হয়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। আশা করি সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে না।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কোভিড বিধি মানতেই হবে, শনিবার বলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ভিড় কমাতে হবে, করোনা নতুন স্ট্রেন দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।” বলেন, “করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা অনেকেই প্রিয়জনকে হারিয়েছি। প্রত্যেক মানুষের জীবন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, সকলে সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।”
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের প্রথমদিন বড়সড় উদ্বেগ করোনা পরিসংখ্যানে, একদিনে আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি]
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিন অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মুম্বই ও পুনেতে। দুই ব্যস্ত শহর থেকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারী।