অর্ণব আইচ: নিয়োগ-রেশন দুর্নীতির মতোই আর জি কর দুর্নীতিতেও টাকা সরানোর হয়েছে অন্যত্র! মাধ্যমে সেই আত্মীয়-ঘনিষ্ঠদের 'শেল' কোম্পানি! একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডি সূত্রে। ইতিমধ্যে ৮ থেকে ১০টি সংস্থার হদিশ মিলেছে। শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দোসর ইডিও। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাদের জেরা করছে ইডিও। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪ জনের থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে সল্টলেকে তল্লাশি চালায় ইডি। উঠে আসে একাধিক 'শেল' কোম্পানির খোঁজ।
[আরও পড়ুন: সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি, উদ্ধার বিপুল নগদ, মিলল ৫ কোটির সোনাও]
প্রাথমিক পর্যায়ে ৮-১০টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। ইডির অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে খোলা হয়েছিল সংস্থা। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই অন্যত্র টাকা সরানো হয়েছে। সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।
উল্লেখ্য, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির হদিশ মিলতেই তদন্তে নেমেছে ইডি ও সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একের পর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর মধ্যে দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এর পর সল্টলেকের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল ইডি।