দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: নন্দীগ্রামের পর হুগলি (Hooghly)। পুজোর মুখে ফের তৃণমূলে ভাঙন। এবার পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন আরামবাগের সাংসদ (MP) অপরূপা পোদ্দারের সহযোগী-সহ প্রায় ১০০ জন কর্মী। বিধানসভা ভোটের আগে লাগাতার দলত্যাগ শাসকদলের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আরামবাগের কার্যালয়ে সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের ঘনিষ্ঠ দাপুটে তৃণমূল নেতা মিঠুন মল্লিক ও আরও প্রায় ১০০ নেতা-কর্মীর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। শুভেচ্ছা জানান প্রত্যেককে। এদিন দলত্যাগের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মিঠুনবাবু। অভিযোগ করেন, দুর্নীতিগ্রস্তরাই শাসকদলে পদ পাচ্ছেন। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তিনি আশ্বাস দিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সেই কারণেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত। যদিও মিঠুন মল্লিকের দলত্যাগ ও তাঁর অভিযোগ, কোনওটাকেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল। তাঁর কথায়, “ওই নেতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ আসছিল। তাই ওনার দলত্যাগের কোনও প্রভাব পড়বে না।” তবে এবিষয়ে সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্মকে হাতিয়ার করে ভোটে জেতার চেষ্টা’, ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে বিতর্কে গোসাবার বিধায়ক]
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় শাসকদলে ভাঙন শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম-সহ প্রায় সমস্ত জেলাতেই তৃণমূলকর্মীরা হাতে তুলে নিচ্ছেন গেরুয়া পতাকা। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের নন্দীগ্রামেও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়েছেন। অন্যদিকে, দলে দুর্নীতিগ্রস্তরা পদ পাচ্ছেন, এই অভিযোগে দল ছাড়ছেন দীর্ঘদিনের নেতারাও। রাজ্যজুড়ে এই দলত্যাগ কীরকম প্রভাব ফেলল শাসকদলের উপর, তা বোঝা যাবে ভোটের ফলাফলে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।