সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। মাত্র দু’দিন আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল আতিকের (Atiq Ahmed) পুত্র আসিফের। তারপরেই প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকে মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই ১৮৩ জন অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে হত্যা করেছে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সেই সময়ের পর থেকে এনকাউন্টারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ছয় বছরের মধ্যে দশ হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার চালানো হয়েছে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮৩ জন অভিযুক্তের। জখম হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে পুলিশকর্মীদেরও। ২০১৭ সালেই এনকাউন্টার চলাকালীন ১৩ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: গুলি চালানোর সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, আতিকের থেকেও বড় গ্যাংস্টার হতে চেয়েছিল হত্যাকারীরা]
২০ মার্চের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন রাজ্যের স্পেশ্যাল ডিজি প্রশান্ত কুমার। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, ১০ হাজার ৯০০ এনকাউন্টারের পরে ধরা পড়েছেন ২০ হাজারের বেশি অভিযুক্ত। অভিযান চালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫০০ পুলিশকর্মী। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টার নীতির তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদব সাফ বলেন, এই এনকাউন্টারের অধিকাংশই ভুয়ো।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসিফ ও তাঁর এক সঙ্গীকে এনকাউন্টার করা হয়। তারপর থেকেই যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সেই বিতর্কের মধ্যেই শনিবার রাতে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য়ে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় আতিককে।