সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৮ বছর। শতায়ু হয়েও বেঁচেছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অন্যতম প্রবীণ এক ব্যক্তি নরসিংহ গায়কোয়াড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯৬৮ সালে করা তাঁর মামলার নিষ্পত্তি হওয়া দেখে যেতে পারলেন না তিনি। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর মামলা শুনতে রাজি হলেও শুনানির আগেই মৃত্যু হল তাঁর।
নরসিংহ একটি জমি কিনেছিলেন যেটি আসলে তার আগেই বন্ধক রাখা ছিল। জমির মালিক সেটি এক ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছিলেন। সেই জমিটি দেখিয়েই তিনি ঋণ নিয়েছিলেন ব্যাংক থেকে। কিন্তু নরসিংহকে জমিটি বেচার সময় সবটা চেপে যান। এরপর ওই ব্যক্তি ঋণের কিস্তি শোধ না করতে পারায় ব্যাংক থেকে নোটিস পাঠানো হয়। সেই নোটিস এসে পৌঁছয় নরসিংহের কাছে। এরপরই তিনি ওই ব্যক্তি ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। সেটা ১৯৬৮ সাল।
[আরও পড়ুন: স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট, জেলে উত্তরপ্রদেশের অধ্যাপক]
সেই মামলা বম্বে হাই কোর্টে চলেছিল ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত বম্বে হাই কোর্ট মামলার রায় দেয়। যা একেবারেই মনমতো হয়নি নরসিংহের। এরপরই তিনি ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন। ১৯৮৮ সালে করা সেই আরজির ২৭ বছর পরে ২০১৫ সালে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর আবার আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা অতিমারী। ক্রমশ সময় গড়ায়।
অবশেষে ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট শুনানির দিন ধার্য করে। কিন্তু সেদিনও তিনি আদালতের সামনে হাজির হননি। পরে তাঁর আইনজীবী জানান, শুনানির আগেই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। যেহেতু তিনি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকতেন, তাই তাঁর মৃত্যুর খবরও আইনজীবীর কাছে পৌঁছতে বেশ কয়েক দিন লেগে গিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, এবার মামলাটি চালিয়ে নিয়ে যাবেন প্রয়াত বৃদ্ধের আইনত উত্তরাধিকারীরা।