সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: একেই বোধহয় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর! যখন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু মনোনয়ন জমা দিয়েই বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করছেন, সমর্থন চাইছেন সোনিয়া গান্ধী, শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঠিক তখনই বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও (Yashwant Sinha) হাঁটছেন একই পথে। বলছেন, সমর্থন চাইতে প্রাক্তন সতীর্থ বিজেপি নেতাদের দ্বারস্থ হবেন।
সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করেন যশবন্ত। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সমর্থনের জন্য প্রাক্তন সতীর্থদের কাছে যাবেন তিনি। এদিন তাঁর হয়ে প্রচারের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে বিরোধীরা। সেই কমিটিতে রয়েছেন জয়রাম রমেশ (কংগ্রেস), তিরুচি শিবা (ডিএমকে), সুখেন্দুশেখর রায় (তৃণমূল), ডি রাজা (সিপিআই), সীতারাম ইয়েচুরি (সিপিএম), ডা. রামগোপাল যাদব, প্রফুল্ল প্যাটেল (এনসিপি), রঞ্জিত রেড্ডি (টিআরএস), মনোজ ঝাঁ (আরজেডি), সুধীন্দ্র কুলকার্নি (সমাজকর্মী)। শিব সেনার তরফে কোনও একজন থাকবেন এই দলে, তবে তাঁর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘আবাস যোজনার টাকা না পেলে দিল্লি যাব’, বর্ধমানের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার]
উল্লেখ্য, একসময়ে বিজেপির (BJP) দাপুটে নেতা ছিলেন। মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকও। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যশবন্তকে। যার জেরে মোদি-শাহ (Amit Shah) জুটির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভার আগে থেকেই মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামেন তিনি। উনিশের আগে মমতার হয়ে রাজ্যে ভোটপ্রচার করেছেন তিনি।
মোদি-শাহ জুটির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রবীণ নেতাদের একাংশের ক্ষোভ সর্বজনবিদিত। সেই ক্ষোভটাকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ক্রস ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোটে জেতার কৌশল আঁটছেন যশবন্ত। তাই এবার প্রাক্তন সতীর্থদের দ্বারস্থ হতে চাইছেন বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।