গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ বসিরহাটে (Basirhat)। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা আপাতত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। শুক্রবার রাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতা সংকটজনক অবস্থায় এইচডিইউতে (HDU) ভরতি। তার চিকিৎসার স্বার্থে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাটিয়া থানা এলাকার নেহাল পুরের বাসিন্দা বছর এগারোর ওই কিশোরী। মাটিয়া গ্রামে তাঁর আত্মীয়ার বাড়ি। দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই আত্মীয়া তাঁর পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেয় ওই কিশোরীকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছেলেটির সঙ্গে কিশোরীর দেখাও করান তিনি। উপহারের লোভ দেখিয়ে বাইকে চাপিয়ে কিশোরীকে মাটিয়া গ্রামের একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত শহর আলি সরদার। সেখানেই কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার (Rape) চালায় সে।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
বিকেলে বাড়ি থেকে বের হলেও রাতে বাড়ি ফেরেনি ওই কিশোরী। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর তার খোঁজ মেলেনি। পরদিন সকালে অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে মাটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। পুলিশের দাবি, অভিযোগ দায়ের হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে নির্জন এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় কিশোরীরকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। রাতে অবশ্য কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মেয়েটিকে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে রাতে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করা হয়। তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডও। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায় নিজে এসে মেয়েটিকে দেখে গিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে।
এদিকে পুলিশের দাবি, অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত শহর আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে সেই আত্মীয়াও। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।