রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃত তৃণমূল নেতার প্রেমিকার। সেই প্রেমিকদের তালিকায় ছিলেন মৃতের ব্যবসায়িক সঙ্গী আতাউরও। অনুমান, তাতেই শুরু হয়েছিল সমস্যা। তার জেরেই কি ভয়ংকর পরিণতি আমডাঙার উপপ্রধানের স্বামীর? রহস্যভেদে মরিয়া পুলিশ।
শনিবার আমডাঙার উপপ্রধান সুমাইয়া পারভিনের স্বামী আবুল নাসারের দেহ মেলে মন্দারমণির হোটেল। এরপরই পুলিশের স্ক্যানারে চলে আসে মৃতের প্রেমিকা ও এক বন্ধু আতাউর। ঘটনার দিন একইসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। তাঁদের জেরা করতেই একাধিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত তরুণীর একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। একদিকে আবুল নাসারের সঙ্গে প্রেম ছিল মহিলার। পাশপাশি মৃতের বন্ধুর সঙ্গেও বাড়ছিল ঘনিষ্ঠতা। তা মানতে পারেননি আবুল। যার পরিণতি হয়ে থাকতে পারে এই মৃত্যু।
তবে স্বামীর পরকীয়ার তথ্য মানতে নারাজ মৃতের স্ত্রী। তাঁর দাবি, ব্যবসায়ীক শত্রুতার প্রতিশোধ নিতেই ওই তরুণীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছিল আবুলের বন্ধু আতাউর। এদিকে সম্পর্কের কথা মানলেও খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ ধৃতরা। তাঁদের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন আবুল। রাতভর মদ্যপানের মাঝে অশান্তির খবরও মিলেছে। তবে কি সত্যিই মদের আসরে বচসার জেরে আত্মঘাতী আবুল? নাকি ত্রিকোণ প্রেমের বলি? এদিকে ব্যবসায়িক শত্রুতার বিষয়টাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা।