সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামশেদপুরে (Jamshedpur) ইস্পাত কারখানার (Steel Factory) বিশালাকার চিমনি (Chimney) ভেঙে ফেলল সংস্থা টাটা (Tata)। ১১০ মিটার লম্বা চিমনিটি ভাঙতে সময় লাগে মাত্র ১১ সেকেন্ড। এক বিবৃতিতে টাটা জানিয়েছে, যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে চিমনিটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। যে সংস্থা নয়ডার (Noida) টুইন টাওয়ার (Twin Tower) ভাঙার কাজ করেছিল তারাই বিশালাকার চিমনি ভাঙার দায়িত্বে ছিল। গোটা কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার টাটার তরফে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অবনীশ গুপ্তা (Avinash Gupta) চিমনি ভাঙার কথা জানান। সেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে, একে একে পুরনো প্ল্যান্টগুলিকে বাতিল করে নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করছে টাটা। তারই অঙ্গ হিসেবে ২৭ বছরের পুরনো এই চিমনটিকে ভাঙা হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধ্বংসকাজ চালানো হয়েছে। সংস্থার তরফে চিমনি ধ্বংসের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। অবিনাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, “২৭ বছরের পুরনো, ১১০ মিটার লম্বা জেমনস প্ল্যান্টের ৫ নম্বর ব্যাটারির একটি চিমনি ইমপালসন পদ্ধতিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই কাজ হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে হয়েছে কাজ। চিমনি ভাঙতে মাত্র ১১ সেকেন্ডে সময় লেগেছে।”
[আরও পড়ুন: নাম নেবেন না মোদির, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন স্ট্র্যাটেজি রাহুলের]
টাটার এই চিমনি ভাঙার কাজে করেছে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া (Edifice Engineering Company)। এই কাজে তাদের সাহায্য করেছে জে ডিমোলিশন (J Dimolition) কোম্পানি। উল্লেখ্য, এই সংস্থাই নয়ডার টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েক মাসের আগের সেই ঘটনায় ৯ সেকেন্ডে জলের ধারার মতো মাটিতে নেমে এসেছিল কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু বহুতলের দুটি টাওয়ার।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলা: এবার ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের ৫ আইপিএস, ডিসেম্বরেই দিল্লিতে তলব]
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরকের ব্যবহারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ১০ বছর ধরে তৈরি করা গগনচুম্বী যমজ অট্টালিকা। নিমেষে মাটিতে মিশে যায় ১০০ মিটার উচ্চতার অ্যাপেক্স ও ৯৭ মিটার উঁচু সিয়ানে নামের দুটি টাওয়ার। চোখের সামনে ধুলোর মেঘে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ৮০০০ টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে তিন মাস সময় লেগেছিল।