সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ। প্রায় রোজই রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের কপালে। এহেন পরিস্থিতি ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘টিকা উৎসব’ পালন করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র, দিল্লির পরে গাজিয়াবাদেও করোনা টিকার ভাঁড়ার শূন্য! বাড়ছে উদ্বেগ]
বৃহস্পতিবার, দেশে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে করোনা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। যে কোনও ভাবে আমাদের মৃত্যুর হার কম রাখতে হবে। আবার কঠিন সময় আসছে। আমাদের সতর্কতায় ঢিলেমি করলে চলবে না।” সম্পূর্ণ লকডাউনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন’ তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, নাইট কারফিউয়ের বদলে ‘করোনা কারফিউ’ শব্দবন্ধ ব্যবহারের আরজি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাত ৯টা বা ১০টা থেকে সকাল ৫টা অথবা ৬টা পর্যন্ত নাইট কারফিউয়ের সময় হওয়া উচিত। সংক্রমণ রুখতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা উচিত। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলি করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের প্রাথমিক ঢেউ দেখেছে। তাই মানুষের মধ্যে কিছুটা গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রশাসনের মধ্যে ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। এমনটা করলে চলবে না।”
করোনা কালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা পেরিয়ে গিয়েছে সওয়া এক লক্ষ। যা কিনা গত বছর যে সময় দেশের করোনা সংক্রমণের পরিমাণ একেবারে চরমে ছিল তার থেকেও অনেকটা বেশি। এই নিয়ে গত চারদিনের মধ্যে তিনদিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। এই পরিসংখ্যান ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ‘টিকা উৎসবে’র কথা বললেও মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় টিকার জোগান পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ আসছে। সব মিলিয়ে দেশে মহামারী পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।